তৎপরতা: মশা মারতে অভিযান। শনিবার কীর্ণাহারে। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোয় বাড়ি ফিরছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাই সেই এলাকায় মশা মারতে কামান দাগল প্রশাসন।
প্রায় প্রতি বছরেই পুজোয় লাভপুরের মিরিটি গ্রামের বাড়িতে আসেন প্রণববাবু। পুজোয় চণ্ডীপাঠ করেন তিনি। মিরিটি আসার পথে প্রতি বার প্রথমে কীর্ণাহার লাগোয়া পরোটা গ্রামে দিদি অন্নপূর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তিনি। প্রণববাবুর সফর ঘিরে পুজোর মুখে কীর্ণাহার থেকে মিরিটি পর্যন্ত সাজ সাজ রব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি আসতেন হেলিকপ্টারে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে আসত তিনটি হেলিকপ্টার। তা দেখতে কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে উপচে পড়ত ভিড়। নিরাপত্তায় ঢাকা হতো গোটা এলাকা।
গত বছর থেকে অবশ্য আর হেলিকপ্টার আসে না। থাকে না নিরাপত্তার সেই কড়াকড়িও। তবুও শনিবার পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা পরোটা সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। ছিলেন নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল, ওসি তপাই বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল কেরিম খান, কীর্ণাহার ১ পঞ্চায়েতের প্রধান শিবরাম চট্টোপাধ্যায়।
এ দিনই কীর্ণাহার ১ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পরোটা সংলগ্ন এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। পাশাপাশি মশা মারতে কামানও দাগা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন বিকেলে দিদির বাড়িতে পৌঁছবেন প্রণববাবু।
পঞ্চায়েত প্রধান শিবরামবাবু জানান, এমনিতেই ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন এলাকায় মশা মারতে কামান দাগা হয়। কিন্তু পুজো উপলক্ষ্যে প্রণববাবু দিদির বাড়িতে থাকবেন বলে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে।