সমাবর্তনের প্রস্তুতি বিশ্বভারতীতে

সমাবর্তনে বিশ্বভারতী থেকে পাশ করে যাওয়া পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হয় ‘দেশিকোত্তম’, ‘অবন-গগন পুরস্কার’ ও ‘রথীন্দ্র পুরস্কার’। শুরু হল তারই প্রস্তুতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০০
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। নিজস্ব চিত্র

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের পরে এত দিনে বিশ্বভারতীতে সমাবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সমাবর্তন হওয়ার কথা। সমাবর্তনে বিশ্বভারতী থেকে পাশ করে যাওয়া পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হয় ‘দেশিকোত্তম’, ‘অবন-গগন পুরস্কার’ ও ‘রথীন্দ্র পুরস্কার’। শুরু হল তারই প্রস্তুতি।

Advertisement

সোমবার বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে মনোনীত হয় পুরস্কার প্রাপকদের নাম। এর পরে ওই তালিকা কর্মসমিতিতে যাবে। সেখান থেকে মনোনীত পুরস্কার প্রাপকদের নাম অনুমোদনের জন্য বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছবে। তিনটি বিভাগে পুরস্কারগুলি দেওয়া হয়। গত পাঁচ বছরে সমাবর্তন না হওয়ায় বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’-এর জন্য এ বারে সাত জনকে মনোনীত করেছে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, কবি গুলজার, অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক, লেখক অমিতাভ ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, বৈজ্ঞানিক ও পদার্থবিদ অশোক সেন এবং শিল্পী যোগেন চৌধুরীর নাম রয়েছে ‘দেশিকোত্তম’এর তালিকায়। ‘অবন-গগন পুরস্কার’-এর জন্য মনোনীত হয়েছে সুষেন্দ্রনাথ ঘোষ, সুধীর পটবর্ধন ও পার্থপ্রতীম দেবের নাম। সমাজকর্মী রাজেশ ট্যান্ডন ও বিনায়ক লোহানী, অমলেশ চৌধুরী এবং কৃষিবিদ এল কে মণ্ডলের নাম মনোনীত হয়েছে ‘রথীন্দ্র পুরস্কার’এর জন্য। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তার জন্যই আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হল।’’

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক ও ইউজিসি-র নির্দেশ অনুযায়ী পড়ুয়াদের পাশ করার ১৮০ দিনের মাথায় শংসাপত্র দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাঁদের শংসাপত্র দরকার, তাঁরা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে ‘দেশিকোত্তম’, ‘অবন-গগণ পুরস্কার’ ও ‘রথীন্দ্র পুরস্কার’ আচার্যই পুরস্কার প্রাপকদের হাতে তুলে দেবেন বলে আশাবাদী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। আজ, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সহ বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী আসছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতীর দিক থেকে বাংলাদেশ ভবন তৈরির কাজ শেষ। এখন শুধু সংগ্রহশালা সাজানোর কাজ বাকি আছে। ভবনের গ্রন্থাগারে বই দেওয়ার কাজও করা হবে বাংলাদেশ থেকেই। বাংলাদেশ ভবন তৈরির কাজ কতটা হয়েছে তা পরিদর্শনের জন্যই এই প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী আসছেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিশ্বভারতী আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন