বেতনের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ

সময়মতো বেতন-সহ কয়েক দফা দাবিতে শনিবার সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। রাতের দিকে এডিএমের আশ্বাসে অবস্থান উঠে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

চলছে অবস্থান। অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে তোলা নিজস্ব চিত্র।

সময়মতো বেতন-সহ কয়েক দফা দাবিতে শনিবার সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। রাতের দিকে এডিএমের আশ্বাসে অবস্থান উঠে যায়।

Advertisement

টিচার ইনচার্জ বুধবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলেন শিক্ষা কর্মীদের কাছে। কিন্তু বুধবারও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ফের টিচার ইনচার্জকে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মিরা।

কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাস থেকে বেতন হয়নি স্থায়ী কর্মীদের। এবং গত দু’বছর থেকে বেতন বাড়েনি অস্থায়ী কর্মীদের। তারই প্রতিবাদে গত শনিবার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ওই স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। এ দিন বিক্ষোভরত কর্মীদের দাবি, সঠিক সময়ে বেতন ও অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি-সহ কয়েকদফা দাবিতে গত মাসের ২৮ তারিখ অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। তখন স্থায়ী টিআই (টিচার ইনচার্জ) ওভার ফোনে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে বুধবার আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এবং এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কলেজ প্রশাসক এডিএমের (জেলাপরিষদ)।

Advertisement

কারণ নিয়মানুযায়ী কলেজের গভর্নিং বডি বা প্রশাসক ছাড়া কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনা হল, দীর্ঘদিন থেকে ওই কলেজে গভর্নিংবডি নেই। বিক্ষোভে সামিল কর্মীদের দাবি, ‘‘এ দিনও সকাল থেকে টিআই বলে এসেছেন যে বিকেল চারটেয় প্রশাসক এডিএম সকলকে নিয়ে বৈঠক করবেন। হঠাৎ বিকেল চারটের সময় টিআই জানান এডিএম আসতে পারবেন না। তিনি জরুরী কাজে বোলপুরে আছেন। তারপরই আমরা এ দিন ফের অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। এ ছাড়া আমাদের কাছে কোনও পথ নাই।’’ শিক্ষা কর্মীদের কথায়, আজ জুন মাসের এক তারিখ হয়ে গেল। কার্যত দু’মাসের বেতন হয়নি স্থায়ী কর্মীদের। কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না।

স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের পক্ষে দেবাশিস রাউত ও গোপন বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘আমাদের বেতন অল্প, তারপর কারও দু’মাস থেকে বেতন হচ্ছে না, আবার কারও দু’বছর থেকে বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না। এ ভাবে চলতে পারেনা। তাই সময়মতো বেতন ও বেতন বাড়ানোর দাবিতেই মূলত আমাদেরকে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, প্রশাসক এডিএম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একদিনও কলেজে আসেননি। উনি কি করে জানলেন যে কলেজের টাকা নেই।’’ শিক্ষা কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভের ফলে গত শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে কলেজে কোনও কাজই হয়নি। ফলে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার অ্যাডিমিট কার্ড নিতে আসা অনেক পড়ুয়া যেমন অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে ফিরে যায়, তেমনি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার ফর্ম তুলতে আসা বহু ছাত্র ছাত্রীও দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর শেষপর্যন্ত ফর্ম না নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ দিন অবশ্য তেমনটা হয়নি।

টিআই অর্ণব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এডিম সাহেবের সঙ্গে কথা বলেই এ দিন বৈঠকের দিন ও সময় (বিকেল চারটে) ঠিক করা হয়েছিল। বিকেল চারটের সময় উনি জানান যে, এ দিন তিনি আসতে পারবেন না।’’

এডিএম ডি নিডিল ইশ্বর (জেলাপরিষদ) বলেন, ‘‘টাকা না থাকলে তো বেতন বাড়ানো যাবে না। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভোট-সহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে কলেজে যাওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন