তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে কারা, তাদের কেন ধরতে পারল না পুলিশ। প্রতিবাদে সোমবার সকালে খয়রাশোলে একটি প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল। মিছিলে হাঁটেন আক্রান্ত নেতা দীপক ঘোষ-সহ স্থানীয় নেতার। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নরেশ বাউরি এবং দুবরাজপুরের পুরপ্রাধন পীযূষ পাণ্ডে।
গত ১৫ ডিসেম্বর খয়রাশোলের তৃণমূল নেতা দীপক ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল আততায়ীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন নেতা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যে দুবরাজপুরের শিমিলডিহি এবং কাঁকরতলা থানার সাহাপুর থেকে দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল ষড়যন্ত্রকারীদের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। নেতার উপর হামলার ঘটনার পরে কলেজ ভোটের মনোনয়ন পত্র দেওয়ার দিন আক্রান্ত হন আরেক নেতা। কিন্তু কাঁকরতলা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের একটি অংশ জানাচ্ছে, খয়রাশোলে অন্তর দ্বন্দ্ব প্রবল। এর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল সভানেত্রী অসীমা ধীবরের বিরুদ্ধে অনাস্থা এসেছিল। লোকপুর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হয়েছে। সই মিলিয়ে দেখার দিন মহকুমাশাসকের কাছে পৌঁছতে না পারায় শেষ পর্যন্ত পদে বহাল থাকেন অসীমা। অন্যদিকে দীপক ঘোষের উপর হামলায় বিরোধী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে মত দীপক অনুগামীদের। পাছে দলের অন্তর কোন্দল সামনে আসে তাই পুলিশই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, এই যুক্তিতে নেতার উপর হামলার ঘটনার পরে কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ হয়নি। কিন্তু দ্বন্দ্ব অশান্তি রয়েইছে। এ দিকে এতদিন কেটে গেলেও পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না দেখে এ দিন প্রতিবাদ মিছিল করা হল বলছে তৃণমূল। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই পুলিশ ধীর অথচ কার্যকর পদক্ষেপ করার দিকেই জোর দিচ্ছে।’’