দাবি: দফতরে আটকে উপাচার্য।
গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সহ নিচুতলার কর্মীদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ হল বিশ্বভারতীতে। শুক্রবার সকালে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্তকে প্রায় দু’ঘণ্টা নিজের দফতরে ঘেরাও করে রাখেন কর্মিসভার লোকজন। তখন বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিও তোলে কর্মিসভা। কর্মীদের এই দাবিগুলি আজ, শনিবার কলকাতায় বিশ্বভারতীর গ্রন্থণ বিভাগে কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা করে ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দেন উপাচার্য। আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে।
বিক্ষোভের খবর গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘গোটা পরিস্থিতির উপরে আমরা নজর রাখছি। বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।’’ সূত্রের খবর, কাকে স্থায়ী উপাচার্য বাছা হবে, তা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পদাধিকার বলে বিশ্বভারতীর আচার্যও। বিশ্বভারতীতে বেশ কিছু আধিকারিকের পদোন্নতি ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘স্যোসাল নেটওয়ার্ক সাইট’-এ সরব হতে দেখা গিয়েছে বিশ্বভারতীর কোর্ট কমিটির সদস্য তথা বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকে। খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকেও।
সকাল ১১টায় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মিসভার সভাপতি দেবব্রত সরকারের নেতৃত্বে কর্মীরা নিজের দফতরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু আধিকারিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কর্মিসভার সভাপতি দেবব্রত সরকার বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে স্থায়ী উপাচার্য নেই। নিচুতলার কর্মীরা তাঁদের বিভিন্ন প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। বেশ কিছু আধিকারিক দুর্নীতিগ্রস্ত, তারপরও তাদের পদোন্নতি হয়ে যাচ্ছে। এ সবের তদন্ত চাই।” ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, “কর্মীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। আজ, শনিবার এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”