গোলমেলে: লাভপুরে মোটরসাইকেলে ঘুরল সশস্ত্র যুবকরা। বিজেপির অভিযোগ, ওই বাইক-বাহিনী তৃণমূলের। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
নেতারা পৌঁছলেও লাভপুরে সভা হল না বিজেপির। দলের রাজ্য নেতারা ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার পথ ধরলেন। স্থানীয় রেল ময়দানে ওই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রদেশ বিজেপি নেতাদের। সভা বানচাল করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণ্ডগোল বাঁধানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এর আগে ফুল্লরা মন্দির সংলগ্ন একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন মাঠে বিজেপির সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে ওই মাঠে জল ঢেলে চাষ করে দেওয়া হয়। ওই ঘটনাতেও অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন সভা বাতিল হওয়ার পর বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলেই সভা করা যায়নি। সভাস্থলে তৃণমূলের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। নালিশ জানানো হয়, বিজেপির ২৫ জন কর্মী-সমর্থক জখম হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘শাসকদলের লোকজন ও পুলিশকর্মীদের একাংশ ওই সভা ভণ্ডুল করেছেন। পুলিশের সামনেই অস্ত্র হাতে এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছে তৃণমূলের বাইকবাহিনী।’’ ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর মোড়-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের লাভপুর ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কেউ বিজেপির সভা ভণ্ডুল করতে যায়নি। ভিড় জমাতে না পেরে ওঁরাই সভা বাতিল করেছে। মুখ বাঁচাতে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, আজ কোনও রাজনৈতিক দল লাভপুরে সভা করার অনুমতি চায়নি।