মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, রাখতে হবে নৈশরক্ষী

পুজো কমিটিগুলির তরফেও কিছু সমস্যার কথা জানানো হয়। বিদ্যুৎ দফতরে জমা দেওয়া ‘সিকিউরিটি মানি’ ফেরত নিয়ে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দুর্গাপুজোর প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা ও নৈশরক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে শারদোৎসবের দিনগুলিতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম ও সাধারণ মানুষের জন্য একটি টোল-ফ্রি নম্বর চালুর কথাও ঘোষণা করা হল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সিউড়ির ডিআরডিসি সভাগৃহে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গাপুজো ও কালীপুজো কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রশান্ত অধিকারী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পুর্ণেন্দু মাজি, জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। ছিলেন বিভিন্ন এলাকার বিডিও, থানার আধিকারিক, দমকল, বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিরা।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো আয়োজনে কী কী নিয়ম ও সতর্কতা মানতে হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। পুজো কমিটিগুলির তরফে বিভিন্ন সমস্যার কথাও জানানো হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে পুজো আয়োজনের অনুমতির জন্য আবেদন দাখিল করতে হবে। আগামী দিনে মহকুমা ও ব্লক স্তরেও এই ধরনের বৈঠক হবে।

Advertisement

সিউড়ির (সদর) মহকুমাশাসক রাজীব মণ্ডল জানান, গত বছর পুজোয় কিছু সমস্যার বিষয় প্রশাসনের নজরে এসেছে। তার জেরেই এ বছর সমস্ত পুজো কমিটিকে মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি এবং নৈশরক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, ওই ব্যবস্থায় প্রশাসনের কাজেও সুবিধা হবে। তিনি জানান, পুজোর সময় টোল-ফ্রি ১৮০০-৩১৩-৪৬৪ নম্বরে ফোন করে কোনও সমস্যা বা অন্য বিষয়ে সরাসরি প্রশাসনকে জানানো যাবে। জেলাশাসকের কথায়, ‘‘পুজোর জন্য জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানেই ওই নম্বর থাকবে। যে কোনও প্রয়োজনে তাতে ফোন করা যাবে।’’ এ দিনের বৈঠকে দমকলের আধিকারিক জানান, পুজোমণ্ডপে ‘ফ্লেম রির্টান্ডেন্ট লো স্মোক’ যন্ত্র রাখতে হবে। পুলিশ সুপার জানান, এ বার জেলায় ২ হাজার ৬৫টি পুজো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সেগুলির মধ্যে থাকা ১৯টি মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিকে ৩০ হাজার টাকা এবং ২ হাজার ৪৬টি পুজো কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহেই ওই পুজো কমিটিগুলিকে স্থানীয় থানায় ডেকে চেক বিলি করা হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, পুজোর সময় শহরে যানজট রুখতে অটোরিকশা ও টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

পুজো কমিটিগুলির তরফেও কিছু সমস্যার কথা জানানো হয়। বিদ্যুৎ দফতরে জমা দেওয়া ‘সিকিউরিটি মানি’ ফেরত নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অনেকে অভিযোগ জানান, গত বছরে জমা দেওয়া টাকা ফেরত মেলেনি। এ নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক জানান, গত বছর পর্যন্ত একটা সমস্যা ছিল। এ বছর সেই সমস্যা থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন