বৈঠকে মঞ্জুর সাড়ে এগারো কোটির খরচ

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বোর্ড গঠিত হলেও কোনও স্থায়ী সমিতি গঠন হয়নি। বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় ওই কাজে দেরি হয়েছে বছর খানেক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৭
Share:

আলোচনা: জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতির প্রথম বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

প্রথম বৈঠকে অনুমোদন মিলল সাড়ে এগারো কোটি টাকার প্রকল্পের। পুরুলিয়া জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের এক বছরেরও বেশি সময় পরে, বুধবার ‘অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা’ স্থায়ী সমিতির প্রথম বৈঠক ছিল। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে দু’টি তহবিল থেকে এই খরচের পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বোর্ড গঠিত হলেও কোনও স্থায়ী সমিতি গঠন হয়নি। বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় ওই কাজে দেরি হয়েছে বছর খানেক। বরাবাজারের বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পরে গত অগস্টে জেলা পরিষদের ন’টি স্থায়ী সমিতিই গঠিত হয়। তার পরে ‘অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা’ স্থায়ী সমিতির এটিই ছিল প্রথম বৈঠক।

এ দিনের বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ-সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) দীনেশচন্দ্র মণ্ডল, ন’টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অজিত বাউড়ি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) দীনেশচন্দ্র মণ্ডল জানান, নন-পিএমজিএসওয়াই (প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নেই এমন) ও নন-আরআইডিএফ-এর (রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফান্ডের বাইরে) তহবিলে যে ৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে এ দিনের বৈঠকে তার পাশাপাশি, চতুর্থ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে পাওয়া আড়াই কোটি টাকার প্রকল্পেরও অনুমোদন হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চতুর্থ অর্থ কমিশনের টাকায় এই প্রথম বার কাজ করবে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ।

Advertisement

যে ৯ কোটি টাকার প্রকল্প এ দিনের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে, তার মধ্যে কোন কোন কাজে গুরুত্ব দেওয়া হবে? সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিনের বৈঠকে কোন কোন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যবহৃত হবে সেই বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। বিশেষত যে সমস্ত রাস্তার দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বা জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণ দরকার, সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’ এ ছাড়া, জেলা পরিষদের সদস্যদের থেকে প্রস্তাব চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চতুর্থ অর্থ কমিশন থেকে যে আড়াই কোটি টাকা মিলেছে, তা দিয়ে জেলা পরিষদের বিভিন্ন সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দীনেশবাবু।

স্থায়ী সমিতি গঠন না হওয়ায় এতদিন টেন্ডার কমিটি গঠনের কাজটিও ঝুলে ছিল। এ দিনের অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে টেন্ডার কমিটিও গড়া হয়েছে। জেলা পরিষদের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি ‘পূর্তকার্য, পরিবহণ এবং জনস্বাস্থ্য’ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাতো আর ‘পরিবেশ’ সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। বিরোধী দলনেতা তথা অধ্যক্ষও রয়েছেন সেই কমিটিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন