গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বাতিল মিছিল

বিজেপি-র বিরুদ্ধে মিছিল করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলকেই সেই মিছিল বাতিল করতে হল। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ায় জয়পুরের উত্তরবাড় পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের মিছিল বের করার কথা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

বিজেপি-র বিরুদ্ধে মিছিল করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলকেই সেই মিছিল বাতিল করতে হল।

Advertisement

রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ায় জয়পুরের উত্তরবাড় পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের মিছিল বের করার কথা ছিল। কিন্তু জয়পুর ব্লক যুব সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বাবর আলি কোটাল এবং উত্তরবাড় পঞ্চায়েতের প্রধান ময়না মণ্ডল এ দিন সকালে পঞ্চায়েতের আরও সদস্য এবং কয়েকশো অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে সরাসরি বিক্ষোভ দেখালেন দলের জয়পুর ব্লক পাটি অফিসে। তাঁরা দলেরই ব্লক সম্পাদক রবিয়াল মিদ্দ্যার বিরুদ্ধে ব্লক সভাপতি স্বপন কোলের কাছে ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের প্রশয় দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

বাবর আলি ও ময়নাদেবীরা এ দিন ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ দেখানোর পরে ব্লক সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বাবরের অভিযোগ, ‘‘কয়েকজন অসাধু ধান্দাবাজ ব্লক নেতার প্ররোচনায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে উত্তরবাড় এলাকায় আমাদের কয়েকটি পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকার তৃণমূলের পুরনো নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

তাঁদের দাবি, আগে ওই এলাকার পুরনো নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হোক। তারপরে উত্তরবাড়ে দলের মিটিং-মিছিল হবে। ময়নাদেবী পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে দলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাজকর্ম নিয়েও এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ময়নাদেবী এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘দলের অঞ্চল সভাপতি পঞ্চায়েতের কাজে বাধা দিচ্ছেন।আগেও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। এ বার ন্যায় বিচার না পেলে তিন দিন পরে ন’জন সদস্য নিয়ে আমি প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেব।’’

যদিও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রবিয়াল মিদ্যার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ছ’মাস আগে পুলিশ পিটিয়ে দলের পার্টি অফিসগুলোতে বাবরই তো দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়েছে। দলের মিছিল বন্ধ করে ওঁরা প্রমাণ করল কারা দলবিরোধী।’’ চেষ্টা করেও তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়নি।

দলের ব্লক সভাপতিও অভিযোগগুলি মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের ক্ষোভের কথা শুনেছি।’’ তিনি জানান, দলের জেলা নেতাদের নির্দেশে তিনি এ দিনের মিছিল স্থগিত করে দিয়েছেন।

সব দেখে বিজেপির বিষ্ণুপুর জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘এই দলটা নিজেরাই খাওয়া-খায়ি করে মরবে। দুষ্কৃতী ছাড়া আর কিছু আছে না কি?’’

বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা থাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন