Visva Bharati: পড়ুয়াদের সমর্থনে শহরে তিন মিছিল

শনিবার সকাল ১০.৩০ নাগাদ বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫৭
Share:

বিশ্বভারতীতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সমর্থনে মিছিল। শনিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বিশ্বভারতীতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সমর্থনে শনিবার তিনটি পৃথক সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি মিছিল হল বোলপুরে। এ দিন সকালে বড় মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মাঝে ডিএসও, পরে বাংলা পক্ষও মিছিল করে। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল এসে উপস্থিত হয় পড়ুয়াদের অবস্থান মঞ্চে। ‘ফ্যাসিস্ট বিরোধী বাংলা’ নাম একটি সংগঠনের পক্ষ থেকেও কলকাতার একাধিক নাট্যকার ও সাহিত্যিকরা অবস্থান মঞ্চে আসেন। প্রত্যেকেরই দাবি, উপাচার্যের বিরুদ্ধে দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দবি, সার্বিক সমর্থন তাঁদের অবস্থানকেই জোরালো করবে।

Advertisement

শনিবার সকাল ১০.৩০ নাগাদ বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সুদীপ্ত ঘোষ, ওমর শেখ সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে ডাকবাংলো মাঠে দেখা গেলেও মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জামশেদ আলি খান, রেজ্জাক আনসারির মতো বিশ্বভারতীর বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা। মিছিলের সামনে ছিল ব্যানার। তাতে লেখা ‘কবিগুরুর আশ্রম আজ বিপন্ন, আশ্রমকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব’। শান্তিনিকেতন, বোলপুর সহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে আসা কয়েক’শো লোকের সেই মিছিল ডাকবাংলো মাঠ থেকে বিশ্বভারতীর আন্তর্জাতিক অতিথিশালা পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে। এরপরে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অবস্থান মঞ্চে যান। কিছু শুকনো খাবার ও ফল তুলে দেন। বীরভূম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া জামসেদ আলি খান বলেন, “উপাচার্যের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে আছি।’’

দুপুর ১২টা নাগাদ বোলপুর স্টেশন থেকে মিছিল করে ডিএসও। শতাধিক সদস্যদের নিয়ে সেই মিছিল শেষ হয় বিশ্বভারতীর ফার্স্ট গেটে এসে। সেখানে পথসভা হয়। সব শেষে মিছিল করে বাংলা পক্ষ। বোলপুর চৌরাস্তা থেকে শান্তিনিকেতন বকুলতলা পর্যন্ত এই মিছিল হয় দুপুর ১.৩০ নাগাদ। ছিলেন বাংলা পক্ষের কেন্দ্রীয় নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি প্রমুখরা।

Advertisement

এই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূলের মিছিল এবং ৫০ মিটার দূরে থেকে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সবাই বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। দিল্লিতেও তো এক বছর ধরে চলছে। গণতন্ত্রে সেই অধিকার আছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় ডিস্টার্ব না করা উচিত। সেটাই আদালত বলছে। উপাচার্যকে ঘেরাও করে, খেতে না দিয়ে, চিকিৎসা করতে না দিয়ে যেটা করা হচ্ছিল সেটাও ঠিক না।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অবশ্য হুঁশিয়ারি, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য ঘরে বসে থাকবেন আর বড় বড় কথা বলবেন। বড় বড় কথা বলার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এর পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভয়ঙ্কর আন্দোলন হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement