Visva Bharati

জমা জনরোষের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ, মত ঐক্যমঞ্চের

বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চ দাবি করেছে, সোমবারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা তৃণমূলকেও দলের পতাকা ও স্লোগান নামিয়ে রাখতে বাধ্য করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০০:০১
Share:

ফাইল ছবি।

সোমবার মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তিকে ‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন জমে থাকা জনরোষের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ’ বলে মনে করে বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চ। বৃহস্পতিবার প্রেস বিবৃতি জারি করে ঐক্যমঞ্চের তরফে এই মত জানানো হয়।

Advertisement

বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চ দাবি করেছে, সোমবারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা তৃণমূলকেও দলের পতাকা ও স্লোগান নামিয়ে রাখতে বাধ্য করেছিল। একই সঙ্গে মঞ্চের অভিযোগ, ১৭ অগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজেই। কেননা, ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একের পর এক ছাত্র-ছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক এবং সর্বোপরি রবীন্দ্র চেতনার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলেছেন। লকডাউন চলাকালীন রতনপল্লিতে দোকান উচ্ছেদ অথবা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেচ্ছ ফি বৃদ্ধি সেই প্রবণতারই অঙ্গ।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ‘রবীন্দ্র আদর্শ বিরোধী সিদ্ধান্তের’ বিরোধিতা করে বুধবার আশ্রমিকরাও পথে নেমেছিলেন। তবে সোমবারের তাণ্ডবকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মেনে নিয়ে নারাজ ছিলেন তাঁরা। ঐক্যমঞ্চ অবশ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে ‘স্যালুট’ জানিয়েছে। প্রেস বিবৃতিতে বিশ্বভারতীর শান্তি ও সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রেস বিবৃতির জবাবে বিশ্বভারতী এবিভিপির মুখপাত্র অপূর্ব শরদ বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীর নাম করে বামপন্থী পড়ুয়ারা এই বক্তব্য জানিয়েছে। ভাঙচুর বা লুঠপাট প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। সোমবারের ঘটনার ফলশ্রুতিতে বিপদে পড়ল সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন