দিন দশেক আগে হিংলোর জলাধারের মূল চ্যানেল গেটের কাছে রাস্তার উপরে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা ফাটল নজরে এসেছিল। সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচ দফতর। শুরু হল সংস্কার কাজ।
পাঁচ ফুট চওড়া এবং পাঁচ ফুট গভীর করে দেড়শো মিটার এলাকার মাটি খুঁড়ে নতুন করে তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দিন দু’য়েকের মধ্যেই তা শেষ হবে জানান দায়িত্বে থাকা এসডিও (হিংলো সেচ) সাধন গঙ্গোপাধ্যায়। বছরের অন্য সময় খয়রাশোলের এই জলাধার শুকনো খটখটে থাকলেও বর্ষায় ভয়ানক চেহারা নেয়। আষাঢ়ের শুরুতে এর জলাধারে ফাটল নজরে আসায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল সেচ দফতরের। দ্রুত তা সংস্কারের আশ্বাস দেন সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়র (ময়ূরাক্ষী সেচ ক্যানাল) দেবাশিস রায়। আশ্বস্ত করেছিলেন সাধনবাবুও। সোমবার এসডিও বলেন, ‘‘ভয় অবশ্যই ছিল। কারণ জলাশয়ে এখনও যথেষ্ট জল রয়েছে। কিন্তু মাটি খুঁড়ে দেখা গেল ফাটলের গভীরতা পাঁচ ফুটের নীচে পৌঁছয়নি।’’ তাঁর যুক্তি, ওই জায়গার মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকায় ফাটল দেখা গিয়েছিল। তবে, অন্য সমস্যাও রয়েছে। বাঁধের উপর প্রতি বর্ষায় পলি জমে জমে যে ভাবে জলধারণ ক্ষমতা কমছে, তাতে গোটা জলাধারটির সংস্কার রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। একই দাবি এলাকাবাসীরও। সেচ দফতরের তথ্যেও সে কথায় সায় দিচ্ছে। যে জলাধারের উপর খয়রাশোল, দুবরাজপুর ও ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন অংশের ৩০ হাজর হেক্টর জমি চাষ সেচের আওতায় চলে আসত, এখন সেটা কমে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে এসে ঠেকেছে। সেটাও সম্ভব কেবল বর্ষার একেবারে শেষে। কেননা তখনই যথেষ্ট জল থাকা সম্ভব।