নডিহায় অবরোধে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।—নিজস্ব চিত্র
বিদ্যুৎ সরবরাহ বারবার ব্যাহত হওয়ার অভিযোগে জাতীয় সড়ক আটকে দিলেন বাসিন্দারা। অবরোধ চলল দীর্ঘক্ষণ। এলাকায় যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, বিদ্যুত দফতরে বলে কোনও লাভ হচ্ছে না, অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে এই দাবিতে সোমবার পুরুলিয়া শহরের নডিহা এলাকায় পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ দিন দুপুর ১টা থেকে নডিহা এলাকায় পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীদের অভিযোগ, নডিহা, ইউ সি সিংহ স্ট্রিট, মিষ্টি মহল, চিড়াবাড়ি, দুলমি প্রভৃতি এলাকায় যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। শহরের অন্যপ্রান্তে বিদ্যুৎ থাকলেও এই এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়, তারক দত্ত, সজল পাল প্রমুখের বক্তব্য, ‘‘শহরের অন্যত্র বিদ্যুৎ থাকলেও কিন্তু এই এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। এটা কেন হচ্ছে তার কোনও সদুত্তর মিলছে না।’’ তাই ক্ষুব্ধ হয়েই মানুষ রাস্তা অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে অবরোধকারীরা জানান।
এই রাস্তায় অবরোধ চলছে জেনে কিছু যানবাহন শিমুলিয়া বাইপাস দিয়ে ঘুরে গেলেও অবরোধে জেরের রাস্তার দু’পাশে অনেক যানবাহন আটকে পড়ে। বান্দোয়ান থেকে শহরে আসছিলেন রাজেন টুডু ও বাসন্তী টুডু নামে এক দম্পতি। বাসন্তীদেবীর কোলে তাঁদের শিশুসন্তান। অবরোধে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর বাস থেকে নেমে শহরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। বাসন্তীদেবী বলেন, ‘‘অনেকক্ষণ ধরে আটকে থেকে হেঁটেই যেতে হচ্ছে।’’ একই ভাবে আটকে পড়েন আড়শা থেকে শহরের দিকে আসা মমতা সহিস, খগেন কুইরি, নিশিকান্ত মাহাতোদের মতো বহু যাত্রীকে। তাঁরাও বাস থেকে নেমে হাঁটা লাগান শহরের দিকে।
পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের আশ্বাস দেয়, বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে তারা কথা বলবে। এরপরেই অবরোধ ওঠে। বিদ্যুৎ দফতরের পুরুলিয়া জেলা সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোক দলুই বলেন, ‘‘ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে কিছু কাজ চলছিল। সেই কারণেই কিছু কিছু এলাকায় পরিষেবায় প্রভাব পড়ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওই এলাকায় কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।’’