Shantiniketan

শিবম-খুনে ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ আদালত চত্বরে

দিনই রুবি ও তার মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে শিবম-খুনের কথা কবুল করে রুবি। যদিও রুবির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে দিন কয়েক আগে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪৭
Share:

শিবমের ছবি নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

শিবম-খুনে দোষীদের চরম সাজার দাবিতে বোলপুর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ওই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রুবি বিবি ও তার মা সুফিকা বিবিকে বোলপুর আদালতে তোলা হয়। সেই খবর পেয়ে শিবমের ছবি ও ব্যানার হাতে নিয়ে মোলডাঙা থেকে মিছিল করে বাসিন্দারা আদালতের সামনে জড়ো হন। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘণ্টাখানেক পর তা থামে।

Advertisement

গত ১৮ সেপ্টেম্বর মোলডাঙার বাসিন্দা শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের পাঁচ বছরের ছেলে শিবম বাড়ির কাছের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। দু’দিন পরে প্রতিবেশী রুবি বিবির (খাতুন) ছাদ থেকে শিবমের বস্তবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। উত্তেজিত জনতা রুবির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই দিনই রুবি ও তার মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে শিবম-খুনের কথা কবুল করে রুবি। যদিও রুবির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে দিন কয়েক আগে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এই নিয়ে মোলডাঙার বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়।

বৃহস্পতিবার ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়াযর পরে রুবি ও তার মাকে আদালতে তোলার কথা ছিল। তা জানতেন মোলডাঙার বাসিন্দারা। পিউ বাউরি, মনিজা বিবি, চায়না ধীবররা বলেন, “যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ফাঁসি চাই আমরা।” একই সঙ্গে রুবির বাবাকে কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়েরা। তবে, নিহত শিবমের পরিবারের তরফে এলাকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে আদালত চত্বর থেকে সরিয়া আনা হয়। সরকারি আইনজীবী ফিরোজ কুমার পাল বলেন, “বিচারক সব বিবেচনা করে রুবি ও তার মায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন