পুরুলিয়া

সব্জি ঢেলে পথ অবরোধ

বিভিন্ন দাবিতে সোমবার পুরুলিয়ার বারোটি ব্লকে বিক্ষোভ অবস্থান করল এসইউসি। আড়শা ও জয়পুরে রাস্তা অবরোধও করেন দলের কর্মী সমর্থকেরা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা, প্রকাশ্যে মদ বিক্রি বন্ধ, ন্যায্য মূল্যে চাষিদের থেকে ফসল কেনা-সহ ন’টি দাবিতে এ দিন এসইউসি-র বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

বিভিন্ন দাবিতে সোমবার পুরুলিয়ার বারোটি ব্লকে বিক্ষোভ অবস্থান করল এসইউসি। আড়শা ও জয়পুরে রাস্তা অবরোধও করেন দলের কর্মী সমর্থকেরা।

Advertisement

হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা, প্রকাশ্যে মদ বিক্রি বন্ধ, ন্যায্য মূল্যে চাষিদের থেকে ফসল কেনা-সহ ন’টি দাবিতে এ দিন এসইউসি-র বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। আড়শার ব্যাঙ্ক মোড়ে ঘণ্টা খানেক এবং পুরুলিয়া-বোকারো জাতীয় সড়কে চাষমোড়ে প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ হয়।

চাষমোড়ে রাস্তায় সব্জি ঢেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। এসইউসি নেতৃত্বের অভিযোগ, চাষিরা কষ্ট করে সব্জি ফলিয়ে দাম পাচ্ছেন না। জলের দরে বেচতে হচ্ছে। চাষের খরচও উঠছে না। এই পরিস্থিতিতে পথে নামা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না বলে তাঁরা দাবি করেছেন। জয়পুরের চাপাইটাঁড় গ্রামের চাষি শম্ভুনাথ মাহাতো বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি তিন হাজার বাঁধকপি চাষ করেছিলাম। দু’টাকা করে কপি বিক্রি করতে হচ্ছে। কোথাও দাম আরও নেমেছে।’’ একই দাবি করেছেন শ্রীরামপুর গ্রামের চাষি নিরঞ্জন মাহাতো, শালগ্রামের দুর্গাচরন মাহাতোদের। এসইউসির জয়পুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ভগীরথ মাহাতো বলেন, ‘‘চাষিদের সঙ্কটে সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই প্রতীকী অবরোধ
করা হয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন কাশীপুরে দলের শতাধিক কর্মী সাইকেল মিছিল করে এলাকা পরিক্রমা করে ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেন। অন্য ব্লকগুলিতে ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান হয়। এসইউসি-র জেলা কমিটির সদস্য রঙ্গলাল কুমার জানান, পরবর্তী পর্যায়ে ওই দাবিগুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ও সদ্য চালু হওয়া রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ছাড়া জেলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠে আসছে। এসইউসি-র তরফে এ দিন অভিযোগ করা হয়, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়ানোর কথা বললেও পুরুলিয়া আদপে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের ব্যখ্যা, নিয়োগের পরে পুরুলিয়ায় আসতে চাইছেন না অনেক চিকিৎসকই। যাঁরা কাজে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই কয়েক মাসের মধ্যে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছেন। ফলে চিকিৎসকের সঙ্কট মিটছে না জেলায়।

নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মদের আসরে কিশোর খুনের প্রসঙ্গ তুলে এসইউসি-র নেতারা এ দিন অভিযোগ করেন, পুরুলিয়া শহর, রঘুনাথপুর, আদ্রা, নিতুড়িয়া মত শহরাঞ্চল এমনকী বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাতেও ঢালাও ভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে। কিশোরদের কাছেও তা সহজলভ্য। তাঁরা বলেন, ‘‘অনেক এলাকার মহিলারা উদ্যোগী হয়ে মদের ভাটি উচ্ছেদ করলেও পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।’’ তবে জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, অভিযোগ পেলেই তাঁরা ব্যবস্থা নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন