উচ্ছেদের নালিশ, রাস্তা অবরোধ

আগাম নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে নামলেন হাসপাতাল লাগোয়া বস্তির বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল লাগোয়া সরকারি জমিতে বসবাস করা কিছু পরিবার বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তা অবরোধ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ০১:৪১
Share:

অবরোধে সরকারি জমির বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র

আগাম নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে নামলেন হাসপাতাল লাগোয়া বস্তির বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল লাগোয়া সরকারি জমিতে বসবাস করা কিছু পরিবার বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তা অবরোধ করেন।

Advertisement

অবরোধকারীদের দাবি, হাসপাতালের সুপার কিছু কাউন্সিলরকে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সাত দিনের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন। তাঁরা বলেন, ‘‘পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে আমরা কোথায় যাব?’’ ঘটানাস্থলে গিয়ে পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করলে আধ ঘণ্টার মধ্যেই অবরোধ উঠে যায়। পরে মহকুমাশাসকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন ওই বাসিন্দারা।

এ দিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে জ্যোৎস্না মাদ্রাসি বলেন, ‘‘প্রায় ১২০টি পরিবার এই জায়গায় ৫০ বছর ধরে বসবাস করছে। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড সবই রয়েছে। কিন্তু আমাদের যাবার কোনও জায়গা নেই। তাই মহকুমা শাসকের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছি।’’ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার পৃথ্বীশ আকুলি অবশ্য বলেন, ‘‘হাসপাতালে বাইরে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সেই জন্য ওই এলাকায় মাপজোক হচ্ছিল। সম্ভবত তাতেই ভয় পেয়ে জবরদখলকারীরা অবরোধ করেছিলেন। আমি কাউকে উঠে যেতে বলিনি।’’ এ দিন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক পার্থ আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement