প্রকাশ্য সভা থেকে কড়া বার্তা কাজলের

ভোটে ‘লিড’ দেওয়ার পুরস্কার হিসাবে সদ্য দলে ‘পদ পেয়েছেন তিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, অন্তত নানুর ব্লকে দল চলবে তাঁরই ‘ইশারায়’

Advertisement

  নিজস্ব সংবাদদাতা

   কীর্ণাহার  শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share:

কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের পথসভায় তৃণমূল নেতৃত্ব। ছবি: কল্যাণ আচার্য

ভোটে ‘লিড’ দেওয়ার পুরস্কার হিসাবে সদ্য দলে ‘পদ পেয়েছেন তিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, অন্তত নানুর ব্লকে দল চলবে তাঁরই ‘ইশারায়’। দলে সেই ‘প্রত্যাবর্তন’ পর্বের পরে প্রথম প্রকাশ্য সভায় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কড়া ভাষায় সমঝে দিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নানুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কাজল শেখ। শুক্রবার কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের পথসভায় তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মনে রাখবেন কেউ ‘কম্পিটিশন’ করে আসেননি, ‘সিলেকটেড’ হয়ে এসেছেন। পঞ্চায়েতটাকে লুটেপুটে খাওয়ার জায়গা করে তুলবেন না। তা হলে কিন্তু ছেড়ে কথা কইব না!’

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তদানীন্তন তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে কাজলকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করেছিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গদাধরই কার্যত তখন ছিলেন সর্বেসর্বা। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁর অনুগামীরাই পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পান। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করে নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রায় ১৭ হাজার ভোটের ‘লিড’ দেন কাজল। পুরস্কার হিসেবে তাঁকে ব্লক কার্যকরী সভাপতির পদ দিয়ে দলে ফেরানো হয়। তার পরেই গদাধর বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু, গদাধর অনুগামীরাই পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় থেকে গিয়েছেন। এ দিনের পথসভা থেকেই তাঁদেরই বার্তা দেওয়া হল বলে তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন। ওই সব জনপ্রতিনিধির গতিবিধিও যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তা-ও কাজলের বক্তব্যেই স্পষ্ট। কাজল বলেন, ‘‘আপাতত পঞ্চায়েত কমিটির কাজকর্ম স্থগিত রাখা হয়েছে। শীঘ্রই আমরা নতুন পঞ্চায়েত এবং পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে তাঁদের পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব দেব।’’

পথসভায় হাজির ছিলেন, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন পাল প্রমুখ। এ দিন কীর্ণাহারে বিজয় মিছিলও করে তৃণমূল। কীর্ণাহারে এমনিতেই যানজট রোজের সমস্যা। তার উপরে বিজয় মিছিলে যানজট আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। অথচ তা অমান্য করে সবাইকে দুর্ভোগে ফেলা হল। ব্লক সভাপতি সুব্রতবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘দলের তরফে কোনও বিজয় মিছিল করা হয় নি। আসলে বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা লাইন দিয়ে পথসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। তাঁদের দেখেই অনেকে বিজয় মিছিল বলে ভুল করেছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন