অসমাপ্ত: তারাপীঠে শেষ হয়নি রাস্তার কাজ। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তারাপীঠে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে সে ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রস্তুতি হিসেবে তারাপীঠে মা তারার মন্দির সংস্কার থেকে রং করা হয়েছে। মন্দির চত্বরের শিব মন্দির এবং অন্য মন্দিরগুলিও নতুন রংয়ের পোঁচ পড়ছে। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ থেকেও নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এর মধ্যে পূর্ত দফতর থেকে তারাপীঠ চিলার কাঁদর থেকে ফুলিডাঙা মোড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু, চিলার কাঁদরের উপরে সেতু নির্মাণ এবং সেতু সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। শেষ হয়নি তারাপীঠের দ্বারকা নদের উপরে পুরাতন সেতুর রেলিং তৈরির কাজ। এ ছাড়া দ্বারকা নদের উপরে নবনির্মিত সেতুর সঙ্গে নিকাশি নালাও তৈরি হয়নি।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাপীঠ ঢোকার আগে চিলার কাঁদর সহ দ্বারকা নদের উপরে নতুন সেতু নির্মাণ সহ রাস্তা তৈরির কাজ গত বছর শুরু হয়। প্রকল্পটির জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। পূর্ত দফতরের জেলা মুখ্য নির্বাহী বাস্তুকার আজফার আলি জানান, তারাপীঠে চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তবে রাস্তায় চিলার কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেতু সংযোগকারী উভয়প্রান্তের রাস্তাও এখনও তৈরি হয়নি। আশা করা যায়, চলতি মাসের মার্চ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। দ্বারকা সেতুর উপরে রেলিং নির্মাণের কাজও বাকি আছে।
তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তারাপীঠে চার লেনের রাস্তায় একটি গেট তৈরি হবে। রাস্তা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, সেটাও খুব শীঘ্র শেষ হবে। তখন তারাপীঠ আসার জন্য আর অসুবিধা হবে না। অন্য দিকে, তারাপীঠে চার লেনের রাস্তা তৈরির সময় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর তাদের নতুন পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই পূর্ত দফতরের নতুন রাস্তা কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। এমনও হয়েছে পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বিরোধে কাজ থমকে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এবং পূর্ত দফতরের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। উভয়কেই উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে বলা হয়েছে।