ক্ষোভ নারায়ণপুরে

রাস্তায় ট্রেলার আটকে জট

বালি পাচারের গাড়িতে এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে রাস্তা কেটেছিল গ্রামবাসীর একাংশ। রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামে এই নিয়ে বালি পাচারকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর বিবাদ ছিলই। তার মাঝে শনিবার গভীর রাতে বালিঘাট থেকে তুলে নিয়ে আসা মাটি কাটার যন্ত্র ট্রেলারে চাপিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাড়িতে ট্রেলার আটকে গোটা গ্রাম অবরুদ্ধ হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৫
Share:

বালি পাচারের গাড়িতে এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে রাস্তা কেটেছিল গ্রামবাসীর একাংশ। রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামে এই নিয়ে বালি পাচারকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর বিবাদ ছিলই। তার মাঝে শনিবার গভীর রাতে বালিঘাট থেকে তুলে নিয়ে আসা মাটি কাটার যন্ত্র ট্রেলারে চাপিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাড়িতে ট্রেলার আটকে গোটা গ্রাম অবরুদ্ধ হল। খবর পেয়ে রাতে এলাকায় পুলিশ পৌঁছলেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রবিবার দুপুর তিনটের পরে ট্রেলার সরিয়ে রাস্তা স্বাভাবিক করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তেতে রয়েছে গ্রাম।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ একটি ট্রেলারে চাপিয়ে এলাকার এক বালি মাফিয়া বালিঘাট থেকে মাটি কাটার যন্ত্র রামপুরহাটের দিকে পাঠানোর মতলব আঁটে। সেই মতো মাটি কাটার যন্ত্র বোঝাই ট্রেলার আনানো হয়। সেটি সরু রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে নারায়ণপুর–রামপুরহাট রাস্তার উপর নারায়ণপুর গ্রামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে প্রথমে রাজীব কর্মকার নামে এক বাসিন্দার টিনের বাড়িতে ধাক্কা মারে। তারপরেও এগিয়ে গিয়ে বৈদ্যনাথ সালুই নামে আর এক বাসিন্দার বাড়িতে ধাক্কা মেরে আটকে যায়।

শীতের রাতে জোর শব্দ শুনে আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে আসেন। তাঁরাই ট্রেলারটি আটকে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ রাতেই এলাকায় পৌঁছে ট্রেলার সরাতে পারেনি। এর ফলে রাত থেকেই নারায়ণপুর–রামপুরহাট রাস্তায় সমস্ত রকমের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ওই রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রেকার চলাচল করে। রাস্তা আটকে থাকায় চলেনি সেগুলি। তার জেরে অনেককেই প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে যেতে হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা রাজীব কর্মকার জানান, রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তখনই টিনের চালে জোর শব্দ হয়। রাজীবের কথায়, “ওই ধাক্কায় টিনের ছাউনির একাংশ ভেঙে গিয়েছে। কড়ি-বর্গা আলগা হয়ে গিয়েছে। দেওয়ালেও চিড় ধরেছে।’’

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নারায়ণপুর গ্রামের ইন্দ্রডাঙা এলাকার সেই বালি ব্যবসায়ী অবশ্য ঘটনার সত্যতা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমার বালিঘাট বন্ধ আছে। আর মাটি কাটার যন্ত্রটিও আমার নয়। যতটুকু জানি মাটি কাটার যন্ত্রটি খারাপ হয়ে দীর্ঘ দিন এলাকার এক বালিঘাটে পড়ে ছিল। কোনও একটি ফাইনান্স সংস্থা মাটি কাটার যন্ত্রটি নিয়ে যাচ্ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন