Tarapith

তারাপীঠে ডান্স বার! তীর্থক্ষেত্রে বাউন্সার দিয়ে ঘিরে নাচাগানা-নেশা, অভিযোগ পুলিশের কাছে

মদ্যপানে এবং মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগও উঠেছে। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, সোনার গয়না, টাকাপয়সা— সব কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তারাপীঠ শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ১৩:৩৮
Share:

কী ভাবে তীর্থক্ষেত্রের কাছে এই ডান্স বার চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মন্দির কমিটিও। —প্রতীকী চিত্র।

সামনেই তারাপীঠ মন্দির। তার এক পাশে চলছে ডান্স বার। রাত বাড়লেই সেখানে অভব্যতা বাড়ে কয়েক গুণ। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, টাকাপয়সা থেকে গয়না। এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তারাপীঠের মন্দির কমিটি। কী ভাবে তীর্থক্ষেত্রের কাছে এই ডান্স বার চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা হলেই তারাপীঠ মন্দির থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে একটি পানশালায় চটুল গানের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির নাচের আয়োজন হয়। অভিযোগ, রাত একটু বাড়লে অশ্লীলতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানে এবং মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগও উঠেছে। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, সোনার গয়না, টাকাপয়সা— সব কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন এমন ঘটনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মন্দির কমিটিও বার বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিলছোড়া দূরত্বে এই বার গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। আর তার আড়ালে চলে স্বল্পবসনাদের নৃত্য। গন্ডগোল হয়। তখন মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বার করে দেওয়া হয়। ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বারের ভিতরে রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে বুঁদ করে চলে লুটপাট। আমার সঙ্গে একই ব্যবহার করা হয়েছে। আমার সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন (হার) কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ।’’ ওই বার নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে মন্দির কমিটি। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোন তীর্থক্ষেত্রে এমন ঘটনা কাম্য নয়। মন্দিরের আশপাশে ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’

Advertisement

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন