সেলে নিয়ম ঘিরে বিতর্ক

কর্মদক্ষতাই একমাত্র মাপকাঠি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কর্মীদের উতরোতে হবে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা। পরীক্ষায় না পাস করতে পারলেই বিদায় নিশ্চিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৬ ০৩:১৩
Share:

কর্মদক্ষতাই একমাত্র মাপকাঠি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কর্মীদের উতরোতে হবে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা। পরীক্ষায় না পাস করতে পারলেই বিদায় নিশ্চিত। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে তিন মাসের আগাম বিজ্ঞপ্তি ও বেতন— সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া (সেল)। এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করেই শ্রমিক সংগঠনগুলির ক্ষোভ দানা বেঁধেছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি)।

Advertisement

সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ মার্চ ৪২৮ তম বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষ থেকে সংস্থার আধিকারিক ও কর্মীদের কর্মদক্ষতা কোন স্তরে রয়েছে, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর খতিয়ে দেখা হবে। তবে ‘কন্ডাক্ট, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড অ্যাপিল রুলস ১৯৭৭’, (সিডিএ-১৯৭৭)-এর আওতায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। কারখানা সূত্রে খবর, নতুন নিয়মের আওতায় পড়ছেন সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। সবকিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা আধিকারিক দক্ষ না অদক্ষ। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা আধিকারিককে চাকরিতে আর বহাল রাখা হবে কিনা। তবে সিডিএ ১৯৭৭-এর আওতার বাইরে থাকা কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হবে না বলে সংস্থা সূত্রে খবর। কর্মীদের একাংশের শঙ্কা, এই নিয়ম চালু হলে ভবিষ্যতে মেধাবী কর্মী বা আধিকারিকেরা ডিএসপি-তে যোগ না দিয়ে অন্য কোনও সংস্থায় যোগ দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর বক্তব্য, ‘‘এই নির্দেশিকার ফলে চাকরির নিশ্চয়তাও যেন এক লাফে অনেকখানি কমে গেল।’’

এই নির্দেশিকা আসার পর থেকেই সরব হয়েছে কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলি। শ্রমিক নেতাদের শঙ্কা, আপাতত এই নিয়ম ডিএসপি-র হাজার দেড়েক আধিকারিকের উপর লাগু হবে বলে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে এর আওতায় কারখানার ১০ হাজার শ্রমিকও চলে আসবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন