সাত্তোরে বধূ নির্যাতন কাণ্ডে গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে আগাম জামিন নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওসি এসওজি কার্তিক মোহন ঘোষ ও দুই কনস্টেবল। সোমবার সিউড়ি সিজেএম আদালত থেকে জামিন পেলেন একই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল আল্পনা লোহারও।
সরকারি আইনজীবী কুন্তল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আবেদনের ভিত্তিতে ১০০০ টাকার বণ্ডে আল্পনাদেবীর জামিন মঞ্জুর করেন মুখ্যবিচার বিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।’’
গত জানুয়ারি মাসে পুলিশ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সাত্তোরের এক বধূকে তাঁর বাপের বাড়ি, বর্ধমানের বুদবুদের কলমডাঙায়, গিয়ে মধ্যযুগীয় অত্যাচার করেছে তারা। সেই ঘটনায় ৯ মার্চ সিউড়়ি কোর্ট অফিসে চার্জশিট জামা করে তদন্তকারি সিআইডি দল। তাতে নামছিল জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসি কার্তিক মোহন ঘোষ, এসওজি-র দুই কন্সটেবল দীপক বাউড়ি, কাশিনাথ দাস এবং ইলামবাজার থানার এক মহিলা কনস্টেবল আল্পনা লোহার-সহ মোট চারজন। ঘটনায় জড়িত বলে সিআইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল সিআইডি। কিন্তু সেই চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ঘটনা হল, সেই চার্জশিটে থাকা বেশ কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে প্রশ্ন তোলেন সিজেএম। যার জেরে সিআইডির তদন্তকারী অফিসারকে পুর্নতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার চার্জশিট জমা করে সিআইডি। সিআইডির তরফে কোনও নতুন নাম চার্জশিটে যুক্ত না হলেও একটি জামিন অযোগ্য ধারা (৩৫৪) যুক্ত হয়। আদালত চার্জশিটটি গত ১৭ এপ্রিল গ্রহণযোগ্যতায় নেওয়ার পর সিজেএম নির্দেশ দিয়েছিলেন ২৯ তারিখ অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হতে। যদি নির্দিষ্ট দিনে অনুপস্থিত থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে না।