স্কুলের কম্পিউটার চুরি, আটক ছাত্র

স্কুলের স্টাফরুম থেকে চুরি হয়েছিল কম্পিউটার, সিলিং ফ্যান-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র। সঙ্গে টেবিলে রাখা কয়েকটি বইও নিয়ে গিয়েছিল চোর। আর তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চুরি হওয়া জিনিসপত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

স্কুলের স্টাফরুম থেকে চুরি হয়েছিল কম্পিউটার, সিলিং ফ্যান-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র। সঙ্গে টেবিলে রাখা কয়েকটি বইও নিয়ে গিয়েছিল চোর। আর তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চুরি হওয়া জিনিসপত্র। রবিবার দুপুরে রঘুনাথপুরের মধুতটি হাইস্কুলের ওই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে স্কুল খোলার সময় কর্মীরা দেখেন, স্টাফরুমের পিছন দিকের দরজা খোলা। কম্পিউটারের সিপিইউ, তিনটি সিলিং ফ্যান, মাইক সেট এবং কয়েকটি বই উধাও। ওই দিন বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা স্কুলে গিয়ে দেখতে পান, স্টাফরুমের মূল দরজাটির তালা ঠিক রয়েছে। খিড়কির দরজায় বাইরে থেকে গর্ত করে ছিটকিনি খোলা হয়েছিল। স্কুলে কোনও নৈশ প্রহরী না থাকায় চুরিতে সুবিধাও ছিল। কিন্তু তাঁদের প্রথম খটকা লাগে পড়ার বই চুরিতে। এক পুলিশ কর্তা জানান, হাতের নাগালে যা ছিল, তাই চুরি হয়েছিল। সিলিং ফ্যানগুলিও খোলা হয়েছিল টেবিলের উপর চেয়ার তুলে।

Advertisement

সব মিলিয়ে, স্কুলেরই কোনও পড়ুয়া চুরিতে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ দানা বাঁধে তদন্তকারীদের মনে। শনিবার রাতে কোনও ছাত্রকে স্কুলের আশপাশে দেখা গিয়েছিল কি না সেই খোঁজ নিতে শুরু করেন তাঁরা।

নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরেই ওই ছাত্রের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাকে বমাল ধরা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণের বাড়ি রঘুনাথপুর থানারই লাড়াতোড় গ্রামে। মধুতটিতে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে সে পড়াশোনা করত। সেই আত্মীয় কর্মসূত্রে প্রায়ই বাইরে থাকায় ওই তরুণ বাড়ির একটি ঘরে কার্যত একাই থাকত। এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার সঙ্গে অন্য কেউ চুরিতে জড়িত ছিল কি না তা ওই তরুণকে জি়জ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলার এক পুলিশ কর্তার মন্তব্য, ‘‘ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিতে ছাত্রটিকে অন্য কেউ চুরিতে সামিল করে থাকতে পারে। সে সম্ভাবনাও উ়ড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।’’

তবে স্কুলে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় পড়ুয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ আগেও উঠেছে। মাস কয়েক আগে বীরভূমের একটি স্কুলের কম্পিউটার চুরির অভিযোগে এক ছাত্রকে আটক করেছিল পুলিশ। কয়েক বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে স্কুলের কম্পিউটার চুরির অভিযোগে বমাল গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ দিন ওই ছাত্রের আটক হওযায় হতবাক স্কুলের শিক্ষকেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশচন্দ্র চৌধুরী জানান, পঞ্চম শ্রেণি থেকেই সে ওই স্কুলে পড়াশোনা করত। পড়াশোনাতে মাঝারি মানের। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, মাঝে মধ্যেই ইউনিফর্ম না পরে অন্য পোশাকে স্কুলে আসত ওই তরুণ। প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘চঞ্চল প্রক়ৃতির হলেও স্কুলে ঢুকে ও চুরি করবে— এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।’’

গ্রেফতার। আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি-সহ বাবর আলি শেখ নামে এক ব্যক্তিকে ধরল পুলিশ। শনিবার রাতে কেতুগ্রামের কোমরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে খলিপুরের ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন