অভিযানে: মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল। নিজস্ব চিত্র
রেশন ডিলার প্রথমে ভেবেছিলেন সাধারণ কোনও গ্রাহক। খুব চোটপাট করে বলেছিলেন, ‘‘যা দেওয়া হচ্ছে সেটাই যথেষ্ট। যেখানে খুশি গিয়ে অভিযোগ করুন। আমার কিচ্ছু করতে পারবেন না।’’ আর তখনই ঘরে ঢুকল পুলিশ। রবিবার। ঘটনাস্থল বান্দোয়ানের কুচিয়া গ্রাম।
এ দিন মহকুমাশাসক (মানবাজার) সঞ্জয় পাল বান্দোয়ানের তিনটি রেশনের দোকানে হানা দিয়ে নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে তিনি এ দিন অভিযান চালান। সঙ্গে ছিলেন বিডিও (বান্দোয়ান) শুভঙ্কর দাস, ওসি তাপস দত্ত, ব্লকের খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক। প্রথমে মহকুমাশাসক একা দোকানে ঢুকে কথাচ্ছলে বোঝার চেষ্টা করেন আসলে ডিলারের মতিগতি কী। তার পরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
এদিন প্রথমে মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে একটি দল বান্দোয়ানের টুইটাঁড় গ্রামে যায়। সেখানে রেশন ডিলার চাল গমের হিসাব বোঝাতে পারেননি। এর পরে তাঁরা যান গুরুড় গ্রামে। দেখেন রেশনের দোকান বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কারও খোঁজ মেলেনি।
বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ওই দোকান সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন বন্ধ থাকে। তার পরে যাওয়া হয় কুচিয়ায়।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ এসেছিল। আসনপানি গ্রামের গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছিলেন, কুচিয়া গ্রামের ডিলার নিয়মিত দোকান খোলা রাখেন না। ওজনে কম দেন। ক্যাশমেমো দেন না। দুর্ব্যবহার করেন।’’ তিনি জানান, দোকানগুলিতে হানা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।