জেলায় কলেজ রয়েছে ১৭টি। তার মধ্যে মল্লারপুর টুরকু হাঁসদা লপসা হেমব্রম কলেজ বাদে এ বার ছাত্র সংসদের ভোট হচ্ছে ১৬টিতে। এর মধ্যে এসএফআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কেবল রামপুরহাট ও সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে। তার একটিতে আবার টিএমসিপি-র নেতৃত্বে গা-জোয়ারির অভিযোগ তুলল এসএফআই। সেটা আবার মনোনয়ন তোলার আগের দিনেই।
এসএফআই-এর বীরভূম জেলা কমিটির-সহ সভাপতি রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টিএমসিপি-র নেতৃত্বে বহিরাগতেরা রামপুরহাট কলেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেখানে ছাত্রভোটের উপযুক্ত পরিবেশই নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিও তুলেছে এই বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের প্রশ্ন, ভোট আদৌ হবে তো? এসএফআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীরা পাশে না থাকাতেই নাটক করছে এসএফআই।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন ভট্টাচার্য নিজেও কলেজে বহিরাগতদের উপস্থিতির অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘কলেজের কোথাও কোনও বহিরাগত নেই। বাইরের ছেলেরা যাতে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পরে, সে দিকে আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখি।’’ সে দাবি আবার উড়িয়েছে এসএফআই। রাহুলের অভিযোগ, ‘‘কলেজের ভিতরে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভোটের সামান্যতম পরিবেশ নেই। আর সেটা হয়েছে বহিরাগতরা কলেজের দখল নেওয়াতেই।’’ রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস শান্তিপূর্ণ কলেজ ভোটের স্বার্থে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। একই বিষয়ে জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেরও।
এই আবহেই আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তোলার দিন। ৬ জানুয়ারি মনোনয়ন জমা এবং ৯ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আজ কী হয়, দেখার সেটাই।