Siuri

বিষ খাবেন না, মিম নিয়ে সরব সিদ্দিকুল্লা

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রবিবার সিউড়ির ইদগাহ মাঠে গণবিক্ষোভ সভা করে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৬
Share:

সিউড়ির ইদগাহ মাঠে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সভা। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান, সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সফরের দিনই তাদের তীব্র আক্রমণ করলেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Advertisement

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রবিবার সিউড়ির ইদগাহ মাঠে গণবিক্ষোভ সভা করে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কেন্দ্র সরকার এবং মিমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিনটি বড় দুঃখের। কারণ হায়দরাবাদ থেকে মিম নামে একটি পাখি উড়ে এসেছে। এটাও একটা বিষ মাখা খাবার। বাংলার জন্য আমরাই যথেষ্ট। হায়দরাবাদের মৌলবির দরকার নেই।’’ তাঁর বার্তা, ‘‘দিদিকে ব্যতিব্যস্ত করতে, বিজেপির দালালি করতে মিমের আবির্ভাব হচ্ছে। সাবধান হন।’’

সিদ্দিকুল্লার আক্রমণের তালিকায় বিজেপি এবং মিম থাকলেও সাম্প্রতির অন্য জনসভার মত তিনি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সমালোচনা করেননি। মাসখানেক আগেই বর্ধমানের মঙ্গলকোটে একটি জনসভায় তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে আক্রমণ করেছিলেন। বলেছিলেন, বীরভূমের গরম হাওয়া বর্ধমানে ঢুকুক তা তিনি চান না। মাস দু’য়েক আগে এই বীরভূমের সাহাপুরে নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষা করে তিনি বলেন, ‘‘বীরভূমের এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউসগ্রামকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন।’’

Advertisement

রবিবারের জনসভায় অবশ্য তাঁর মুখে অনুব্রতের বিরুদ্ধে কোনও কথা শোনা যায়নি। বরং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকের হালে বিজেপিতে যোগদানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘অনেক মুসলিম নমাজ পড়ছেন, বিজেপি করছেন। আমি অনুরোধ করব বিষ খাবেন না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার ভুল হলে আমাকে বলুন। অনুব্রতর ভুল হলে তাঁকে বলুন। কৃষিমন্ত্রীর ভুল হলে বলুন। কিন্তু বিষ খাবেন না।’’

নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ সিউড়িতে বিজেপির সভা মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সংখ্যালঘুর মোর্চার নেতা সেখ সামাদের মেয়েকে মঞ্চে ডেকে নেন এবং তাঁদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেন দিলীপ ঘোষ। সামাদ দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি। বীরভূমে

কিছু কিছু অংশে মিমের প্রভাবও রয়েছে। সে কারণেই সংখ্যালঘু ভোট দখলে রাখা শাসক তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ। অনুব্রত-সিদিকুল্লা ‘বিরোধ’ সেকারণেই আপাতত চাপা পড়ে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা অবশ্য বলছেন, ‘‘ওঁরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে শাসন কায়েম করে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শিক্ষা আর সত্য কখনও চাপা থাকে না। তাই মানুষ বুঝতে পেরে বিজেপি ভালবেসে আমাদের দলে আসছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন