পারুলডাঙায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
পারুলডাঙার যুবতী গীতা লোহার। মহুলার কিশোরী পুতুল বাগদি। কারও বাড়িতেই নেই শৌচাগার। বোলপুরের কঙ্কালিতলা পঞ্চায়েতের এমন একাধিক দিদি-বোনেদের নিয়ে রাখি পূর্ণিমার দিন অভিনব উদ্যোগ নিল প্রশাসন। মঞ্চে ওই পরিবারগুলির দাদা-ভাইদের হাতে রাখি বাঁধলেন বোন ও দিদিরা। প্রতিদানে পেলেন বাড়িতে সরকারি প্রকল্পে শৌচাগার।
বৃহস্পতিবার ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বোলপুরের পারুলডাঙা শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। ‘নির্মল বীরভূম’ প্রকল্পে শৌচাগারহীন ওই পরিবারগুলিতে শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ দিন পঞ্চায়েতের ৯০ জন বাসিন্দা বাড়িতে শৌচাগার করার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছেন। বাড়ির মেয়েরা রাখি বাঁধলেন ভাই বা দাদার হাতে। দাদা-ভাইরা ৯০০ টাকা তুলে দিলেন তাঁদের হাতে। প্রকল্পের শৌচাগার বাবদ খরচ হয় ১০ হাজার ৯০০ টাকা। উপভোক্তাদের দিতে হয় ৯০০ টাকা। বাকি টাকা দেয় সরকার।
প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি মহুলার স্কুল পড়ুয়া সুমি মুর্মু, সখী মুর্মু, সুমনা বাগদিরা। এ দিনের মঞ্চে বিডিও শমিক পাণিগ্রাহী ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলাম।
একই ভাবে ইলামবাজারের বিডিও উৎপল পাতসার উদ্যোগে ব্লকের নানাশোল পঞ্চায়েতের জালালনগরেও একই অনুষ্ঠান হয়।