উদয়নকে দেখতে ভিড়

প্রথমে প্রেমিকা। তারপর নিজের বাবা-মাকেও। একের পর এক খুন করে পুঁতে দেওয়ার স্বীকারোক্তি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসায়, ভোপালের উদয়ন দাসকে মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে উঠেছিল। মঙ্গলবার তাই বাঁকুড়া আদালতে তাকে তোলার খবর পেয়ে ভিড় ভেঙে পড়ে সেখানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৯
Share:

প্রথমে প্রেমিকা। তারপর নিজের বাবা-মাকেও। একের পর এক খুন করে পুঁতে দেওয়ার স্বীকারোক্তি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসায়, ভোপালের উদয়ন দাসকে মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে উঠেছিল। মঙ্গলবার তাই বাঁকুড়া আদালতে তাকে তোলার খবর পেয়ে ভিড় ভেঙে পড়ে সেখানে। কেউ কেউ নিরাপত্তাকর্মীদের ‘ম্যানেজ’ করে পৌঁছে যান উদয়নের কাছেও। তবে সে যে সহজ ছেলে নয়, এ দিন অনেকে তা বিলক্ষণ টের পেয়েছেন।

Advertisement

ভাবা হয়েছিল, একের পর এক নৃশংস খুনে অভিযুক্ত উদয়নের আইনজীবী হিসেবে কেউই সওয়াল করতে চাইবেন না। কিন্তু উদয়ন আদালতে আসার পর থেকেই তার আইনজীবী হওয়ার জন্য অনেককেই ধৃতের কাছে গিয়ে জোরাজুরি করতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে আসার জন্য এটা একটা কৌশল বলেও অনেকে কটাক্ষ করেন।

এক আইনজীবী ফন্দি এঁটে উদয়নকে গিয়ে জানান, ভোপাল থেকে তাঁকে একজন ফোন করে উদয়নের হয়ে সওয়াল করতে অনুরোধ করেছেন। তা শুনে উদয়ন বলেন, ‘‘যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁকে আমার সঙ্গে ফোনে ধরিয়ে দিন তো!’’ কাঁচুমাচু মুখে ওই আইনজীবী বেরিয়ে যান। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা বলে ওঠেন, ‘‘এ ছেলে তো দেখছি আইনজীবীদেরও কথার প্যাঁচে ফেলে কুপোকাত করার এলেম রাখে।’’ শেষ পর্যন্ত উদয়নের আইনজীবী হন কংগ্রেস নেতা অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আদালতে উদয়নের জামিনের সওয়াল করে। চেষ্টা করেন পুলিশ রিমান্ডের দিন কমাতেও। সরকারি আইনজীবীও তার জোরাল প্রতিবাদ জানান। শেষ পর্যন্ত বিচারক ধৃতকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন