সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল বড় ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তার হাতেই পরিবারের আরও তিন সদস্য গুরুতর জখম হন। মঙ্গলবার হাওড়ার হাঁসখালিপোলের নতুন পাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাড়ার লোকজনই রক্তাক্ত অবস্থায় চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গৃহকর্তা গণেশচন্দ্র রায়কে (৭০) মৃত ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি গৃহকর্ত্রী ত্রিলোকা রায় ও ছোট ছেলে শ্রীকান্ত রায়। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন গণেশবাবু ও ত্রিলোকাদেবীর বড় মেয়ের ছেলে রণজিৎ মণ্ডল। পুলিশ প্রথমে বড় ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায়কে আটক করে। পরে বাবাকে খুন ও মা, ভাই, ভাগ্নেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে।
গণেশবাবুর প্রতিবেশী সরোজ জায়সবাল জানান, সকালে চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে তিনি ও পাড়ার লোকজন ছুটে যান। তিনি বলেন, ‘‘দেখি বারান্দা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পড়ে কাতরাচ্ছে পরিবারের চার জন। এক কোণে রক্তাক্ত ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে বড় ছেলে লক্ষ্মীকান্ত।’’
পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীকান্ত স্ত্রী ও সন্তান-সহ বাড়ির দোতলায় আলাদা থাকতেন। ছোট ছেলে শ্রীকান্ত অবিবাহিত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িটি ছাড়াও গণেশবাবুর আরও দু’টি জমি আছে। এই সব সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়েই নিত্য দিনই গোলমাল লেগে থাকতো বড় ছেলের সঙ্গে বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের।
পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীকান্তের স্ত্রী বাড়ির নীচে কল থেকে জল নিতে এসে দেখেন কোলাপসিবল দরজায় তালা দেওয়া। এর পরেই ঝগড়া শুরু হয়। লক্ষ্মীকান্ত দোতলা থেকে নেমে এলে দু’ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া গড়ায় হাতাহাতিতে। পুলিশ জেনেছে, লক্ষ্মীকান্ত একটি ধারাল ছুরি এলোপাথাড়ি চালানোয় গণেশবাবু-সহ ত্রিলোকাদেবী, শ্রীকান্ত ও রণজিৎ আহত হন। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষ্মীকান্ত বাবা মা-সহ বাকিদের ছুরি মারার কথা স্বীকার করেছে।