অনুব্রত মণ্ডল। — ফাইল চিত্র।
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) সম্পর্ক ‘শীতল’ বলে চর্চা ছিল। আগে পুলিশ সুপারকে নিশানাও করেছেন কেষ্ট। এ বার তাঁর সঙ্গেই পুলিশ সুপারের ‘একান্তে’ বৈঠকের খবর ছড়াতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
রবিবার সিউড়ি সার্কিট হাউসে অনুব্রতর সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপের ‘একান্তে’ বৈঠক হয়েছে বলে খবর। তবে পুলিশ সুপার বা অনুব্রত প্রকাশ্যে এই প্রসঙ্গে নীরব থেকেছেন। তবে বৈঠক যে হয়েছে, সেটা মেনেছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। তার জেরেই চর্চা শুরু হয়েছে, নির্বাচনের আগে কি সম্পর্ক ‘শুধরে’ নেওয়ার চেষ্টা করলেন দু’পক্ষই?
ঘটনা হল, জেলায় আসার পর থেকে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে অনুব্রতর সমীকরণ ‘মসৃণ’ ছিল না। সেটা আরও স্পষ্ট হয় মে মাসের শেষে বোলপুর থানার প্রাক্তন আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে হুমকি, গালিগালাজ ও তাঁর পরিজনদের কটূক্তি করায় জেলা তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত অভিযুক্ত হওয়ার পরেই। অনুব্রত বিরুদ্ধে আইসি লিখিত অভিযোগ করার পরে পুলিশ সুপার আমনদীপ এফআইআর করার কথা জানান। যদিও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী এবং তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করা সত্ত্বেও কড়া পদক্ষেপ নিতে পুলিশ ব্যর্থ বলে অভিযোগ ওঠে। কারণ, অনুব্রত জামিন পেয়ে যান। তবে সেই সময় শাসক দলের জেলা সভাপতির পদ হারিয়ে ছিলেন কেষ্ট। তিনি কেবল কোর কমিটির এক সদস্য ছিলেন। এর পরে, জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে আসার পর কেষ্ট কোর কমিটির আহ্বায়ক পদ পান। তার পরেই পরিস্থিতি বদলায়। অগস্টে জেলাশাসকের দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে বিজেপি বিরুদ্ধে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর সরাসরি পুলিশ সুপারকে আক্রমণ করেছিলেন কেষ্ট। এ বার ফের তাঁদের বৈঠকের খবর সামনে আসায় তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে