বরযাত্রী কেন ক্লাসঘরে, ক্ষোভ স্কুলের ছাত্রদের

স্কুল ঘরে বরযাত্রীদের রাখা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ হল মুরারই থানার মিত্রপুর অঞ্চল হাইস্কুলে। সোমবার বিক্ষোভের জেরে ওই স্কুলে প্রথম দিকে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০০:২৩
Share:

মিত্রপুর হাইস্কুলে চলছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুল ঘরে বরযাত্রীদের রাখা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ হল মুরারই থানার মিত্রপুর অঞ্চল হাইস্কুলে। সোমবার বিক্ষোভের জেরে ওই স্কুলে প্রথম দিকে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পঠনপাঠন চালু হলেও চার পিরিয়ডের পরে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্থানীয় ডিএসও নেতা রূপম শেখ এবং রাজু খানদের অভিযোগ, ‘‘রাতে স্কুলের চারটে ঘর বরযাত্রীদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে ক্লাসঘরের বেঞ্চ উল্টে পড়েছিল। ক্লাসঘরে জলের বোতল, মদের বোতলে ভরেছিল। বরযাত্রীদের স্কুলের বিদ্যুৎও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।’’ এরই প্রতিবাদে ছাত্রেরা এ দিন সকালে স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক-সহ অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে তালা খুলে দিলে ছাত্রদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতির সম্পাদক আলোচনায় বসেন।

Advertisement

ঘটনার পরে যোগাযোগ করা হলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ ফিরোজের দাবি, ‘‘পরিচালন কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে স্কুলের একটি ঘরে বরযাত্রীদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোনও মদের বোতল বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। স্কুলের বিদ্যুৎও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, স্কুলে ছাত্রদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে প্রথম দিকে ক্লাস না হলেও পরে চারটি ক্লাস হয়েছে। স্কুলে শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং থাকার জন্য চার পিরিয়ডের পরে ছুটি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক মনসুর খান বলেন, ‘‘স্কুল লাগোয়া বিয়ে বাড়ি। বর্ষাকালে বিয়ে বলে বিয়ে বাসিন্দাদের অনুরোধে বরযাত্রীদের থাকার জন্য দু’টি ঘর দেওয়া হয়েছিল। আর যাদের বাড়ির বিয়ে, তারা স্কুলের জন্য অনেক জায়গা স্বেচ্ছায় দান করেছেন। সেই জন্য মানবিকতা খাতিরে স্কুলের দুটি ঘর বরযাত্রীদের থাকতে দেওয়া হয়।’’ তাঁরও দাবি, মদের বোতল বা নোংরা করার বিষয়টি অপপ্রচার। ভোর হতেই বরযাত্রী চলে গিয়েছিল। তার পর স্কুলের ঘর তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্কার করেছেন। তবে, ছাত্রদের আপত্তি মেনে ভবিষ্যতে আর বিয়েবাড়ি বা অন্য অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলের ঘর ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্কুল কর্তপক্ষ নিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন