Fluoride

‘আমরা তো রোজ দূষিত জলই খাই’

মানবাজার ও বরাবাজার থানার সীমানায় তুড়াং গ্রাম। গ্রামের প্রান্তে রয়েছে প্রাথমিক স্কুলটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২৬
Share:

আতান্তর: তুড়াং স্কুলের নলকূপ। নিজস্ব চিত্র

মাত্রাতিরিক্ত ফ্লোরাইড রয়েছে নলকূপের জলে। সেটাই খায় পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের তুড়াং প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। গ্রামের অনেক মানুষও খাবার জল নিয়ে যান ওই নলকূপ থেকে। বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলছেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানাননি। কী পদক্ষেপ করা সম্ভব, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

মানবাজার ও বরাবাজার থানার সীমানায় তুড়াং গ্রাম। গ্রামের প্রান্তে রয়েছে প্রাথমিক স্কুলটি। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৪ জন। রয়েছে তিনটি নলকূপ। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘‘আমি বছর দু’য়েক হল এই স্কুলে এসেছি। প্রতি বছর রিপোর্ট পাঠাতে হয় জেলা সমগ্র শিক্ষা অভিযানে। তাতে স্কুলের নলকূপের জলের গুণমান লিখতে হয়।’’ তাঁর দাবি, মানবাজারের জবলা গ্রামের একটি পরীক্ষাগার থেকে জলের নমুনা নিয়ে গিয়ে জানা যায়, উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরাইড রয়েছে তাতে। তিনি বলেন, ‘‘দেখা গিয়েছে, প্রতি লিটার জলে ৭.২ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড রয়েছে। যেখানে সহনশীলতার মাত্রা প্রতি লিটারে ১.৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত।’’

স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক অশোক মাহাতোর দাবি, সব থেকে বেশি ফ্লোরাইডের মাত্রা মিলেছে রাস্তার ধারে থাকা নলকূপটির জলে। স্কুল চত্বরের কুয়োর জলে মিড-ডে মিল রান্না হয় এখন। স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার পাশের নলকূপ থেকেই পড়ুয়া এবং কিছু বাসিন্দা জল নিচ্ছেন। গ্রামবাসী আফরোজ আনসারি বলেন, ‘‘প্রায় ৩২০টি পরিবারের বাস এখানে। অধিকাংশ বাসিন্দা এই নলকূপের জলই পান করেন। জল যে নিরাপদ নয়, তা জানা ছিল না।’’ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সাদ্দাম আনসারি বলে, ‘‘আমরা তো রোজ এই জলই খাই।’’

Advertisement

গোপালনগর চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে শুক্রবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের জেলা শিক্ষা আধিকারিক বিকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে কী করা যায় দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন