Birbhum

সিউড়ির অমিত লড়ছেন জীবনের জন্য, কিডনির রোগকে হারাতে চাই ১০ লক্ষ টাকা

বয়স মাত্র ২৪ বছরের অমিত ক’দিন ধরেই পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন। পরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধরা পডে, ‘ক্রনিক কিডনি ডিজিস’-এ আক্রান্ত তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা সিউড়ি

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ১৯:২৪
Share:

আক্রান্ত অমিত সাহা। নিজস্ব চিত্র

কিডনির রোগ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বীরভূমের সিউড়ি বারুইপাড়ার বাসিন্দা অমিত সাহাকে। করতে হবে কিডনি প্রতিস্থাপন। তার জন্য দরকার ১০ লক্ষ টাকা। পরিবার ভেবেই নিয়েছিলেন, এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। আর তখনই বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে পাশে দাঁড়াল অমিতের। কিন্তু তাতেও অনিশ্চয়তায় ভুগছে পরিবার। এখন একটাই চিন্তা, ছেলেকে বাঁচানো যাবে তো?

Advertisement

বয়স মাত্র ২৪ বছরের অমিত ক’দিন ধরেই পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন। পরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধরা পডে, ‘ক্রনিক কিডনি ডিজিস’-এ আক্রান্ত তিনি। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলার পরেই মাথায় হাত পড়ে পরিবারের। সামান্য মিষ্টির দোকানের কর্মী অমিতের বাবা পরেশ সাহার প্রশ্ন, ‘‘এত টাকা কোথা থেকে যোগাড় হবে?’’

Advertisement

আরও পডুন: নীলবাড়ি দখলে কোনও নিরীক্ষা নয়, পরীক্ষিত সৈনিকেই ভরসা মোদী-শাহর

শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত ওই ছাত্রকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সিউড়ি শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারা ও বন্ধুরা৷ ‘উপহার’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রিয়নীল পাল ও ‘শিশুমন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনিমেষ দাস বলেন, অমিত তাঁদের সঙ্গেই দীর্ঘদিন ধরেই সমাজের কাজ করেছেন। কিন্ত, এখন তাঁর অসুস্থতার কথা শোনার পর থেকেই তাঁরা চিন্তিত। সমাজের সকল প্রকার মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছেন তাঁরা৷ চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের জন্যও। তাঁদের মতে, প্রশাসন যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে অমিতের প্রাণটা কোনওভাবে বেঁচে যায়।

আরও পডুন: ‘এই দল আর আমার নয়’, জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির

আক্রান্ত ছাত্রের বাবা পরেশ সাহা বলেন, ‘‘আমার ছেলে স্নাতক হওয়ার পর থেকেই টিউশন পড়িয়ে কিছুটা উপার্জনের চেষ্টা করত৷ আর চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছিল৷ এর মধ্যেই, এই শারীরিক অসুস্থতার খবরে আমাদের মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়েছে৷ কী ভাবে এত টাকা আসবে জানি না, সকলে চেষ্টা করলেও এখনও সে ভাবে টাকা জোগাড় হয়নি।। আমরা চিন্তায় আছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement