পথে: বোলপুরের ধান্যসড়ায় বিমান বসু। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজ্য সরকারকে বিঁধে সুর আরও এক ধাপ চড়ালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বোলপুরে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি তাঁর বার্তা: “পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করবে। বাকিটা আমাদের যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চলছে, তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কৌশল তৈরি করা হবে।”
সোমবার বোলপুরের ধান্যসড়া থেকে বেঙ্গল প্লাটফর্ম অফ মাস অর্গানাইজেশনের (বিপিএমও) উদ্যোগে পদযাত্রায় প্রায় সাত কিলোমিটার হাঁটেন বিমানবাবু। রবিবার রাতে এই এলাকায় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলেও অভিযোগ করেন বিমানবাবু। তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূল সরকার গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা উপহার দিয়েছে। তা হল, গণতন্ত্র মানে বোমা তৈরি কর।”
১১৭টি গণ-সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বেঙ্গল প্লাটফর্ম অফ মাস অর্গানাইজেশনের ব্যানারে ১৭ দফা দাবি নিয়ে রাজ্যজুড়ে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে বামফ্রন্ট। সেই মতো এ দিন সকালে ধান্যসড়া থেকে ছোট শিমুলিয়া, পাঁচশোয়া হয়ে ফের ধান্যসড়া মোড়ে এসে মিছিল শেষ হয়। সেখানেই রবিবার রাতে ধান্যসড়ার রাস্তায় বোমাবাজির অভিযোগ করেন এই সিপিএম নেতা। এ দিন সকালে রাস্তা থেকে দুটি তাজা বোমাও উদ্ধার হয়। ফলে মিছিল ঘিরে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্সের নিরাপত্তা ছিল। পদযাত্রা হয় পাড়ুইয়ের কসবাতেও। রাজ্য বিপিএমও-র আহ্বায়ক শ্যামল চক্রবর্তী পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘‘প্রত্যাশিত ভাবেই বিপিএমও দ্বিতীয় দিনেই রাজ্যের শাসকদলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য নানুরে বোমাবাজির পরেও মানুষ সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে যে ভাবে জাঠায় যোগ দিয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন।’’
মিছিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, “রাজ্যে গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা তৃণমূল উপহার দিয়েছে। গণতন্ত্র মানে বোমা তৈরি করো। গণতন্ত্র মানে বোমা ফাটাও। তৃণমূল বিরোধীরা রাস্তা দিয়ে মিছিল, পদযাত্রা করলে সেই বোমা ফেটে জখম হয়ে যাতে মারা যায়। এটাই তৃণমূলের আমলে নতুন গণতন্ত্র।” সিউড়ি, দুবরাজপুরে রবিবারের পদযাত্রাতেও নানা বিষয়ে সরব হয়েছিলেন বিমানবাবু। দলীয় কর্মসূচিতে অবশ্য ঘোষিত দাবিগুলিকে মানুষের সামনে রাখার বার্তা দেন তিনি। তবে বিঁধতে ছাড়েননি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে।