গরমে নিদান মৎস্য-কর্তাদের

পুকুরের মাছ বাঁচাতে ছাউনি, চুন

কালবৈশাখীর জেরে দিন কয়েক আগে জেলার নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে তাপপ্রবাহে সাময়িক ছেদ পড়লেও ফের রক্তচক্ষু সূর্যের। তাপমাত্রা ৪০ ছুঁয়েছে। গরমে নাজেহাল সাত থেকে সত্তর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:২৬
Share:

কালবৈশাখীর জেরে দিন কয়েক আগে জেলার নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে তাপপ্রবাহে সাময়িক ছেদ পড়লেও ফের রক্তচক্ষু সূর্যের। তাপমাত্রা ৪০ ছুঁয়েছে। গরমে নাজেহাল সাত থেকে সত্তর।

Advertisement

শুধু কি মানুষ? পাখি থেকে জীব-জন্তু সকলেই তীব্র গরমে কাহিল। ব্যাতিক্রম নয় মাছও। জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২১ হাজার একর জলাশয়ের মধ্যে ৪০ শতাংশ গরমের আগেই শুকিয়ে কাঠ। সেগুলিতে মাছ চাষ হয় বছরের
একটি বিশেষ সময়ে। যে জলাশয়গুলিতে বছরভর মাছ চাষ হয়, প্রখর-তাপে সেই জলাশয়গুলির জলও কমে গিয়েছে।

কমপক্ষে পাঁচ ফুট জল থাকলে গরমেও মাছেরা স্বস্তিতে থাকে। কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে কম জল থাকায় সূর্যের তাপে দ্রুত গরম হচ্ছে জল। অনেকক্ষেত্রে রাত আটটার সময়ও জলের উত্তাপ কমছে না। কমছে জলে অক্সিজেনের পরিমাণও। দিন কয়েক এ ভাবে চললে মাছ মরে যাওয়া কিংবা রোগগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকছেই। এমনটা আশঙ্কা চাষি থেকে মৎস্য কর্তাদের। জেলা উপ মৎস্য অধিকর্তা সৌরেন্দ্রনাথ জানা বলছেন, ‘‘জলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এবং জলে অক্সিজেন মাত্রা বাড়াতে কয়েক’টি পদক্ষেপ নিলেই এই ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।’’

Advertisement

কী কী করতে হবে?

মৎস্য দফতরের কর্তাদের পরামর্শ, জল ঠান্ডা রাখতে পুকুরের ধার ঘিরে একাধিক জায়গায় তালপাতা বা কচুরিপানা দিয়ে ছাউনি তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই ছাউনি সংলগ্ন পুকুরের জলের তাপমাত্রা কম থাকবে। মাছেরাও পুকুরের ওই অংশে গিয়ে উত্তাপ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। অন্য দিকে, মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার জেরে জলে অক্সিজেন কমছে। মৎস্য দফতরের কর্তাদের পরামর্শ, জলে অক্সিজেনের জোগান বাড়াতে বিঘা প্রতি পুকুরের জলে ১৫-২০ কিলোগ্রাম করে চুন দিতে হবে। তাতে মাছের ক্ষতির আশঙ্কাও কমবে।

যে পুকুরের জলস্তর পাঁচ ফুটের নীচে নেমে গিয়েছে, সেই পুকুরের মাছ তুলে গভীর জলের পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। অথবা ওই জলাশয়েই গভীর গর্ত খুঁড়ে দিতে হবে। তা হলে মাছে ক্ষতির পরিমাণ কমানো যাবে। জেলা উপ মৎস্য অধিকর্তা বলছেন, ‘‘জেলার মাছ চাষিদের এটা জানেন। যাঁরা এখনও এ কাজ করেননি, তাঁদের দ্রুত তা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’’

এমন পরামর্শকে আশির্বাদ হিসেবে দেখছেন রাজনগর ব্লকের কাষ্টগড়া গ্রামের মাগারাম কুণ্ডু, উত্তম মণ্ডলরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘গত ১৫ বছর ধরে মাছ চাষ করি। গরমে এই উপায়গুলো নিলে খুবই কাজ হয়।’’

নতুন হস্টেল। সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য আবাসের উদ্বোধন হল মন্তেশ্বরের কাইগ্রামে। শুক্রবার রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে ৯৬ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হস্টেলের উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিন হাজার স্কোয়ারফুটের এই দ্বিতল ভবনটিতে চারটি ঘরে ৬৪ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বপনবাবু জানান, সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নে ভাতা ও নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার।a

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন