Visva Bharati

ফের হবে প্রতিবাদ, আশঙ্কায় বিশ্বভারতী

সোমবার সকাল থেকে মাঠ ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরেই মঙ্গলবার গণ আন্দোলনের ডাক দিল পৌষমেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

আবারও অশান্তির আঁচ শান্তিনিকেতনে। মেলার মাঠ ঘেরা শুরু হতে ফের গণ আন্দোলনের ডাক দিল পৌষমেলার ‘মাঠ বাঁচাও কমিটি’। গত ১৭ অগস্ট এমনই একটি গণ আন্দোলনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মেলার মাঠ চত্বর। ভেঙে ফেলা হয়েছিল পাঁচিল তৈরির সরঞ্জাম, মেলার মাঠের প্রবেশদ্বার, অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস। সেই ঘটনায় বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল পুলিশের নিস্ক্রিয়তারও। পুলিশ, ইডির তদন্ত পার করে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী সমিতি, আশ্রমিক ও পড়ুয়াদের লাগাতার বিরোধ, আন্দোলন, প্রতিবাদের পরেও শেষপর্যন্ত পৌষমেলার মাঠ ঘেরার পক্ষেই সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি।

Advertisement

সোমবার সকাল থেকে মাঠ ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরেই মঙ্গলবার গণ আন্দোলনের ডাক দিল পৌষমেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি। সোমবার বিকেল থেকে বোলপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাইকে প্রচার করে সকলকে অংশগ্রহণের ডাক দেওয়া হয় কমিটির তরফে। চেনা ছবি আবার না ফেরে, এই আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মনে। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি মেলার মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় এ বার অন্য রকম কিছু হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। মঙ্গলবারের কর্মসূচি সম্পর্কে মাঠ বাঁচাও কমিটির সদস্য তথা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম কমিটি সকলের সঙ্গে কথা বলে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু, বোলপুরের মানুষের ভাবাবেগ উপেক্ষা করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরাই আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য করলেন। তবে, স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ কোন পথে হবে, তার দায়িত্ব আমাদের নয়।”

সোমবার সন্ধ্যায় একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ফের তাণ্ডবের আশঙ্কা করেই তারা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বোলপুর মহকুমাশাসক ও শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে লিখিত ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। মঙ্গলবার মেলার মাঠ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারিরও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন