রাতারাতি খ্যাতি ছড়াল পান্ডুয়ার ‘রাজা’-র

গ্রামের শিশুরা রাজা-অন্ত প্রাণ। প্রায়ই চড়তে আসে। কারও কাছ থেকে এক পয়সা নিই না।

Advertisement

তারাশঙ্কর গুপ্ত

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৬
Share:

স্নেহ: পোষ্যের সঙ্গে সুকুর আলি মিদ্যা। পাত্রসায়রের পান্ডুয়া গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র

ভোটের প্রার্থীকে পিঠে চাপাতেই তাকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ছবি। বাড়ি বয়েও লোকজন খবর নিতে আসছে তার। সব মিলিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে পড়েছে পাত্রসায়রের পান্ডুয়া গ্রামের সুকুর আলি মিদ্যার পোষ্য ‘রাজা’।

Advertisement

কিছু দিন আগে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা ভোটের প্রচারে পাত্রসায়রের কুশদ্বীপ পঞ্চায়েত এলাকায় যান। তৃণমূলের কুশদ্বীপ অঞ্চল সভাপতি সাজাহান মিদ্যা বলেন, ‘‘ইচ্ছা ছিল এ বার প্রচারে নতুন কিছু করব। তাই ভাবলাম, এলাকায় দু’টি ঘোড়া রয়েছে যখন, তখন আমাদের প্রার্থীকে তার পিঠে চাপালে কেমন হয়!’’ সংশয় ছিল প্রার্থী রাজি হবেন কি না। শ্যামলবাবুও কর্মীদের আবদারে চড়ে বসেন ‘রাজা’র পিঠে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। অনেকে আবার প্রাণীটি আদৌ ঘোড়া কি না, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন।

ঘোড়ার মালিক সুকুর আলি অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘বছর দুই আগে পাত্রসায়রের হাট থেকে শখের বশে কড় কড় নোট দিয়ে ঘোড়াটি কিনেছি। সাধ করে নাম দিয়েছি ‘রাজা’। গ্রামের শিশুরা রাজা-অন্ত প্রাণ। প্রায়ই চড়তে আসে। কারও কাছ থেকে এক পয়সা নিই না। বাচ্চারা মাঝে মধ্যে রাজার জন্য ছোলা নিয়ে আসে।’’ তবে কাছাকাছি এলাকায় মেলা বসলে তিনি রাজাকে নিয়ে যান। সেখানে ছোটদের অল্প ভাড়ায় রাজার পিঠে চাপান।শ্যামলবাবু রাজার পিঠে চাপার পড়ে অবশ্য তাঁর বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। সুকুর আলি বলেন, ‘‘রাজাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কত লোক তাঁদের আত্মীয়, বন্ধুদের নিয়ে আসছেন। তাঁদের কত প্রশ্ন! রাজা কী খায়, কত দামে কিনেছি? তৃণমূল কত টাকায় ভাড়া নিয়েছিল, ইত্যাদি।’’

Advertisement

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সুকুর আলি জানান, তৃণমূল নেতাদের প্রস্তাব শুনে তিনি স্বেচ্ছায় রাজাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে পাত্রসায়রের হাট থেকে রাজার জন্য বিশেষ সাজও কিনে এনেছিলেন। কিন্তু, সে জন্য ভাড়া নেননি। তারপরেই রাজার নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতেই খুশি সুকুর। তিনি বলেন, ‘‘আমার রাজা ঘোড়া না খচ্চর, কে কী বলল, কিছু যায় আসে না। লোকে রাজাকে নিয়ে আলোচনা করছে, দেখতে আসছে, এটাই তো অনেক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন