খাদান নিয়ে স্মারকলিপি তিন সিপিএম বিধায়কের

ঠিক কী ঘটেছিল মেজিয়ার খনিতে, তা নিয়ে ধন্দ কাটল না এখনও। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রথম মুখ খুলল কোনও রাজনৈতিক দল। কালিকাপুরের অবৈধ খাদানে বেশ কয়েক জন শ্রমিক চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সিপিএম বিধায়কেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেজিয়া শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৫
Share:

ঠিক কী ঘটেছিল মেজিয়ার খনিতে, তা নিয়ে ধন্দ কাটল না এখনও। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রথম মুখ খুলল কোনও রাজনৈতিক দল। কালিকাপুরের অবৈধ খাদানে বেশ কয়েক জন শ্রমিক চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সিপিএম বিধায়কেরা। অবিলম্বে প্রশাসন যাতে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখে, ঘটনা সত্যি হলে মৃত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয় সেই দাবিতে শনিবার বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের দফতরে বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী, সোনামুখীর বিধায়ক অজিত রায় ও রানিগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত একটি স্মারকলিপি দেন। পুলিশ সুপার না থাকায় ডিএসপি (ডিআইবি) ওই স্মারকলিপি নেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক সুজিতবাবু।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মেজিয়ার কালীকাপুরের একটি অবৈধ খাদানে কয়লা তুলতে গিয়ে ধস নামায় বীরভূম জেলার বেশ কিছু গ্রামের শ্রমিক চাপা পড়ার খবর শোনা যায়। যাঁদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কিছু শ্রমিক জখম হয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছিল। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ-প্রশাসন এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনের সন্ধান মেলে রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে। শুক্রবার পর্যন্ত সিপিএম-সহ কোনও রাজনৈতিক দলও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

শনিবার পুলিশ সুপারের দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে সিপিএম বিধায়ক সুজিতবাবু বলেন, “অবৈধ ওই খাদানে পঞ্চাশ জনের বেশি মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আমাদের আশঙ্কা। প্রশাসন যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত করে ও শ্রমিকদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয় এবং অবৈধ খাদান বন্ধ করাতে পদক্ষেপ করে সেই দাবি জানিয়েছি আমরা।”

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “ওঁরা কী দাবি তুলেছেন আমি দফতরে গিয়ে খোঁজ নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন