Birbhum TMC Leader Murder

রাত ২টোয় ফোন, বাড়ি থেকে বেরোতেই তৃণমূল নেতার মাথা ফুঁড়ে দিল গুলি! লাভপুরে দুই মহিলা-সহ আটক তিন জন

লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ ঘোষ সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই এলাকায় তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদেও ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি খুন হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৫
Share:

বীরভূমের লাভপুরে নিহত তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বীরভূমের লাভপুরে খুন তৃণমূল নেতা। রাত ২টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে গুলি করা হয়। অভিযোগ, পিছন দিক থেকে মাথায় গুলি লাগে তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত দু’জন মহিলা-সহ মোট তিন জনকে এই ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই খুন, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আমোদপুরের শ্রীনিধিপুর এলাকার কোমরপুর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম পীযূষ ঘোষ। তিনি সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই এলাকায় তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদেও ছিলেন। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কোষাধ্যক্ষ। অভিযোগ, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে।

পীযূষের পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাত ২টো নাগাদ ফোন আসে। কে ফোন করেছিলেন, তা জানা যায়নি। ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান পীযূষ। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে বাড়ির ৫০০ মিটার দূরত্বে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথার পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে। সেই গুলি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়েছে সামনের দিক থেকে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন পীযূষ। বালির কারবার করতেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির কারণে এলাকায় তাঁর গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছিল। এলাকার তৃণমূলের সংগঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যেখান থেকে পীযূষের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার সামনের বাড়ি থেকে মৌসুমি মাল নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনিও তৃণমূল করতেন। রাজনীতির সূত্রে পীযূষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এ ছাড়াও আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পীযূষের খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা বা ব্যবসার কারণে কোনও শত্রুতা গড়ে উঠেছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকা থমথমে।

লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষকে রাতে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ভোর সাড়ে৩টে-৪টে নাগাদ আমরা খবর পাই। সাঁইথিয়া ১ ব্লক, ২ ব্লকের সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, যুব সভাপতি, সকল অঞ্চল সভাপতি— আমরা সকলে এখানে এসে পৌঁছেছি। দেহের ময়নাতদন্ত হবে। যে অস্ত্র দিয়ে ওঁকে খুন করা হয়েছে, সেটা কোথা থেকে কী ভাবে এল, কারা নিয়ে এল, পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে। পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে বার করবে। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। কেন খুন করা হল, কারা দুষ্কৃতী পাঠাল, এটা তদন্ত হলেই জানা যাবে। পুলিশকে সব রকমের সহযোগিতা আমরা করব।’’ খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আশঙ্কা করছেন? বিধায়ক বলেন, ‘‘গভীর রাতে খুন হয়েছে। কাউকে কেউ দেখতে পায়নি। ফলে এটা পুরোপুরি পুলিশের বিষয়। ওরা দেখবে। চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ তো অস্ত্র ব্যবহার করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement