ধস্তাধস্তি: রতনপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হল বিরাট পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার ওন্দার রতনপুরের ঘটনা। তবে কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনায় কয়েক জন দলীয় কর্মী জখম হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প ও একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ দিন রতনপুর গ্রামপঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি-র দাবি, পঞ্চায়েতের সামনে কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দলের তরফে পাঁচ জন পঞ্চায়েত প্রধানের দফতরে গিয়েছিলেন দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য। হঠাৎই পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন তৃণমূল কার্যালয় থেকে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। এই ঘটনায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা দ্রুত বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাঁকুড়া থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।
বিজেপির ওন্দা ব্লক সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবেই স্মারকলিপি কর্মসূচি চালাচ্ছিলাম আমরা। আচমকা তৃণমূল কার্যালয় থেকে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় আমরা রক্ষা পেয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্মারকলিপি কর্মসূচি বানচাল করতেই আগাম ছক কষে বহিরাগতদের এনে রেখেছিল তৃণমূল। দলীয় কার্যালয়ে পাথরও মজুদ করে রেখেছিল ওরা।’’ কল্যানবাবুর দাবি, এই ঘটনায় তাঁদের বেশ কিছু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকেই স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি। এক জনকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও কেউ জখম হয়েছে বলে এ দিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ স্বীকার করেনি। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। কেউ জখম হয়েছেন বলেও খবর নেই।’’
হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিজেপি ঝামেলা করছিল বলে স্থানীয় মানুষ জন প্রতিবাদ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’