প্রতীকী ছবি।
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাবি কান্দুর বাড়িতে হামলা চালাল একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় ঝালদা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের রডের আঘাতে জখম কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী নরেন কান্দুকে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। নগদ টাকা এবং বেশ কয়েক হাজার টাকার অলঙ্কারও দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নরেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
নরেন জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁদের বিরসা মোড়ের বাড়িতে আসে তিন-চারজন অপরিচিত যুবক। ওইসময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। ওই যুবকেরা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেড (বসবাসের শংসাপত্র) নিতে এসেছে বলে কাউন্সিলরকে জানিয়েছিল। তাকপর বাবির বাড়িতে এক দুষ্কৃতী কোমরে গোঁজা লোহার রড বার করে। আরেক জন পকেট থেকে পিস্তল বার করে বাবিকে চুপ করে থাকার পরামর্শ দেয়। চিৎকার করলে গুলি করার হুমকি দেয় তারা।
নরেন বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর কানে সোনার দুল ছিল। দুষ্কৃতীরা দুল দু’টি কান থেকে ছিঁড়ে নেয়। হাতে সোনার বালা ছিল। সে দু’টিও ছিনিয়ে নেয় তারা। বাধা দিলে বাবির মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। মাথা ফেটে রক্ত বেরতে থাকে।’’ এরপর তারা কাউন্সিলরের হাত-পা এবং মুখ দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে লুটপাট চালায়। ওইসময় বাড়ি ফেরেন নরেন।
নরেনের কথায়, ‘‘আমার ছেলে পিকনিক করতে গিয়েছিল। ওকে আনতে গিয়েছিলাম। ঘরে ঢুকে দেখি লুঠপাট চালাচ্ছে অপরিচিত কয়েকজন যুবক। পরিচয় জানতে চাওয়ায় আমাকে মারধর শুরু করে ওরা। রড দিয়ে বুকে-পেটে এলোপাথারি মারে।’’ তারপর আলমারিতে রাখা কয়েক হাজার টাকা এবং বেশ কিছু সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
এর পরে নরেন এবং তাঁর স্ত্রীর চিৎকারে তাঁদের বাড়ি ছুটে আসেন কয়েকজন প্রতিবেশী। তাঁরাই ওই দম্পতিকে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসক উদয়ন চন্দ্র জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের মাথায় আঘাত থাকায় সেলাই করতে হয়েছে। নরেনের বুকে আঘাত রয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত তা জানা যায়নি। রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত পুরভোটে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবি। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।