নওয়াহাতু পঞ্চায়েত। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে প্রধানকে খুনের হুমকি দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ঝালদা ২ ব্লক এলাকার নওয়াহাতু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। পুলিশ এবং বিডিও-র কাছে ও বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে বুধবার প্রশাসন সূত্রের খবর পাওয়া গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের পর জয়ী বিজেপি এবং নির্দল সদস্যদের সমর্থনে নওয়াহাতু গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে সিপিএম। প্রধান নির্বাচিত হন সুধীর মাহাতো। উপপ্রধান করা হয় নির্দল সদস্য সুচাঁদ কুমারকে।
বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ করেছেন, সোমবার বিকেলে তৃণমূলের কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে প্রায় ৫০ জন। তাঁকে ঘেরাও করে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। বলপূর্বক তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় যে, সরকারি অর্থে ঘর তৈরির একটি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে জন্য অনেকের থেকে টাকা আদায় করেছেন উপপ্রধান। বিডিও-কে দেওয়া অভিযোগপত্রে প্রধান এ-ও দাবি করেন, প্রাণভয়ে এবং বাধ্য হয়েই তিনি উপপ্রধান দুর্নীতিতে জড়িত বলে কাগজে লিখেছিলেন। কিন্তু ওই অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও, ঝালদা ২, উজ্জ্বলকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত না হলে কিছু বলা যাবে না।’’
প্রধানের দায়ের করা অভিযোগপত্রে হামলাকারী হিসাবে যে পাঁচজনের নামের উল্লেখ রয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল সদস্য। গুরুচরণ মাহাতো নামে অভিযুক্ত এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেন, ‘‘আমরা হামলা করতে যাইনি। সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান এবং উপপ্রধান যে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছেন, তার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম মাত্র। উপপ্রধানই আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন।’’
পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাবি, ‘‘আমি কারো থেকে টাকা নিইনি। তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক মিথ্যা রটাচ্ছে। তবে এই সব করে আখেরে কোনো লাভ হবে না। প্রধান বলেন, ‘‘যা জানাবার তা বিডিও-র কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছি।’’