Government

জমি ‘দখল’ করে দোকান তৈরির অভিযোগ

স্থানীয় সূত্রে জানি গিয়েছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় দুলোসাহাপুর গ্রামে পাম্প বসিয়ে কুঁয়ে নদী থেকে বালি পাচারের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে ওই জেলা নেতার এক ভাগ্নের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

লাভপুর শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪৪
Share:

বিতর্কিত: এই দোকানঘর নির্মাণ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

সরকারি জায়গা দখল করে লাভপুরে একাধিক দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের জেলার এক নেতার এক অনুগামীর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে ওই নেতার দুই অনুগামীর বিরুদ্ধে বালি পাচার ও পুকুর ভরাটের অভিযোগও উঠেছিল। ওই জমি দখলমুক্ত করার দাবি তুলেছে বিরোধীরা। ওই নেতা ও অভিযুক্ত অবশ্য অভিযোগ মানেননি।

Advertisement

লাভপুরের লাঘাটা সেতুর উপর দিয়ে চলে গিয়েছে সিউড়ি–কাটোয়া সড়ক। সম্প্রতি সেখানে কুঁয়ে নদীর উপরে সেতু তৈরি হচ্ছে। সে জন্য কিছু দোকানপাটও ভাঙা পড়েছে। ওই ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সেতু সংলগ্ন এলাকায় লাভপুর থেকে কীর্ণাহারের দিকে যেতে বাঁ দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাস জায়গায় বেশ কিছু দোকান তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সুযোগে ওই জেলা নেতার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত স্থানীয় দোনাইপুর গ্রামের বুথ কমিটির এক সদস্য নির্মীয়মাণ সেতুর শেষ প্রান্তে সরকারি জমি দখল করে ৭টি পাকা দোকানঘর তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এ ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে নেওয়া হলে পরে রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

স্থানীয় সূত্রে জানি গিয়েছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় দুলোসাহাপুর গ্রামে পাম্প বসিয়ে কুঁয়ে নদী থেকে বালি পাচারের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে ওই জেলা নেতার এক ভাগ্নের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের বাধায় অবশ্য সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তারপর ওই নেতার অনুগামী এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সেকমপুর মৌজায় একটি পুকুরের আংশিক ভরাটের অভিযোগ ওঠে। এ বারে তাঁরই আর এক অনুগামীর বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিরোধীদলের পক্ষ থেকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার দাবি উঠেছে। বিজেপির স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘শাসক দলের মদতে লাভপুরে সরকারি জমি নিয়ে মাফিয়ারাজ চলছে। আমরা বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’

Advertisement

ওই জেলা নেতা এবং অভিযুক্ত বুথ কমিটির সদস্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এমন করেছে বলে জানা নেই। করে থাকলে প্রশাসন দেখবে।’’

পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান বলেন, ‘‘সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিডিও (লাভপুর) শুভ্র দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ হলে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন