শিশু খুনে ধৃত ২

গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই আড়াই বছরের শিশুকে খুন করার অভিযোগ উঠল পড়শি পরিবারের বিরুদ্ধে।শনিবার দুপুরে কোটশিলা থানার বেগুনকোদর গ্রামের সিএডিসি অফিসের পিছন থেকে অমৃত সহিস নামে আড়াই বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোটশিলা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২০
Share:

গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই আড়াই বছরের শিশুকে খুন করার অভিযোগ উঠল পড়শি পরিবারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে কোটশিলা থানার বেগুনকোদর গ্রামের সিএডিসি অফিসের পিছন থেকে অমৃত সহিস নামে আড়াই বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। শিশুটির বাবা অজিত সহিসের দাবি, শুক্রবার রাতে খুব গরম থাকায় অমৃতকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখতে পান অমৃত নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

ওই দিন দুপুর প্রায় একটা নাগাদ অমৃতের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির বাবা অভিযোগ করেন, অমৃতকে খুন করা হয়েছে। পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ওই যুবকের বাবা এবং মা-ও ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে অজিতবাবু পুলিশকে জানিয়েছিলেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার তাঁর মা এবং বাবাকে বেগুনকোদর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভজহরি কালিন্দী এবং রাতুলি কালিন্দী। রবিবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ভজহরি কালিন্দীর তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রাতুলিদেবীর জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক দীপক কালিন্দী ঝাড়খণ্ডে শ্রমিকের কাজ করেন। শুক্রবার দীপক গ্রামে ফিরেছিল। শিশুটির এক আত্মীয় আমু সহিস জানান, দীপকের অনুপস্থিতিতে তাঁদের একটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতেন অজিত সহিস। ওই আত্মীয়ের দাবি, দীপক বাড়ি ফেরার পর অজিতবাবুর কাছ থেকে সিলিন্ডারটি ফেরত চায়। অজিতবাবু তাঁকে বলেন, সিলিন্ডারটি তিনি নগদ দু’শো টাকার বিনিময়ে নিয়েছেন তাঁদের থেকে। সেই টাকা আগে ফেরত দিতে বলেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অচিরেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। বিষয়টি তখনকার মত মিটে গেলেও দীপক অজিতবাবুকে দেখে নেওয়া হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরেই অমৃত নিখোঁজ হয়ে যায়। তার দেহ উদ্ধারের পর থেকে অভিযুক্তকে আর এলাকায় দেখা যায়নি বলে পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন