birbhum

নিজের ওয়ার্ড হাতছাড়া দুই পুরপ্রধানেরই   

আসন সংরক্ষণের ধাক্কায় রামপুরহাটের পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধান কেউই তাঁদের জেতা ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না। শুধু পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধান নয় শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলর তাঁদের দীর্ঘদিনের জেতা ওয়ার্ড থেকে এবার প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারছেন না রামপুরহাট পুরসভায়।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

সংরক্ষণের ধাক্কায় রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া পুরসভার দুই পুরপ্রধান তাঁদের নিজেদের ওয়ার্ডে এবারে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন না। একাধিকবার যে ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন দুই পুরপ্রধান এবার হাতছাড়া হচ্ছে সেই দু’টি। এর ফলে দুই পুরসভায় সংরক্ষণের ধাক্কায় শাসক দলের মধ্যে দোটানা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আসন সংরক্ষণের ধাক্কায় রামপুরহাটের পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধান কেউই তাঁদের জেতা ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না। শুধু পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধান নয় শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলর তাঁদের দীর্ঘদিনের জেতা ওয়ার্ড থেকে এবার প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারছেন না রামপুরহাট পুরসভায়। ১৮ ওয়ার্ডের রামপুরহাট পুরসভার প্রকাশিত সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় অসংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি হল ২, ৩, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮। মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৬। মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড গুলির মধ্যে ৪ ও ৬ দুটি ওয়ার্ডে শুধুমাত্র তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত এবং ১ ও ৯ ওয়ার্ড থেকে তফসিলি পুরুষ বা মহিলা দাঁড়াতে পারবেন।

রামপুরহাটে ওয়ার্ড সংরক্ষণের ধাক্কায় দেখা যাচ্ছে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৪ বার (৩ বার নির্দল ১ বার তৃণমূল) নির্বাচিত বর্তমান পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারী তাঁর নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারছেন না। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্বাস হোসেনও এবার ওই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডটিও হাতছাড়া হচ্ছে উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকারের। একই রকম ভাবে সংরক্ষণের ধাক্কায় ১, ৯, ১০ ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারবেন না। শুধু শাসক দলই নয়, বিরোধী বিজেপির কাউন্সিলরেরাও বাদ পড়েছেন। গতবার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত বিজেপি কাউন্সিলর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী এবারে নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না।

Advertisement

অন্যদিকে, পুরসভার একমাত্র সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক এই নিয়ে চারবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। গতবার এই পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের দলগত অবস্থান ছিল তৃণমূল ১০, বিজেপি ৪, কংগ্রেস ২ এবং সি পি এম ২। পরবর্তীতে ৩জন বিজেপি, ২জন কংগ্রেস এবং একজন সিপিএম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।

রামপুরহাটের পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘যে ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলাম সংরক্ষণের তালিকায় সেটি পড়ে যাওয়ায় আমাদের সরতে হবে। দলই ঠিক করবে ভবিষ্যৎ।’’ একই বক্তব্য, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘সংরক্ষণের খসড়া তালিকা সদ্য বেরিয়েছে। দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে আমরা ভোটের লড়ার জন্য প্রস্তুত।’’

অন্যদিকে সংরক্ষণের ধাক্কায় সাঁইথিয়া পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান বিল্পব দত্ত এবারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারছেন না। ১৫ নম্বর মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। ওই ওয়ার্ড থেকে বিপ্লববাবু এর আগে ২ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাঁইথিয়া পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি হল ২, ৫, ৭, ৯, ১০, ১১ এবং ১৫। তার মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ২, ৫,৭, ৯, ১১ এবং ১৫। ৫ ও ৯ তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ১০ এবং ১৩ তফসিলি পুরুষ বা মহিলার জন্য সংরক্ষিত।

সাঁইথিয়ার পুরপ্রধানও বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম তো মানতেই হবে। এর বাইরে দল যদি আমাকে অন্য ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ দেয় তাহলে প্রতিদ্বন্দিতা করব।
তা না হলে দলের একজন কর্মী হয়েই কাজ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন