ভাঙচুর: আমোদপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ের কাছে। নিজস্ব চিত্র
‘মহামিছিলে’ যোগ দিতে যাওয়ার পথে শাসকদলের নেতাকর্মীরা অন্তত চারটি এলাকায় তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের আটকেছে, মারধর করেছে— এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপি। বিজেপি’র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি, ‘‘নানুরে ১৬টি বাসের একটিকেও আসতে দেয়নি তৃণমূলের লোকেরা। লাভপুরেও একই কাণ্ড।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মিছিলে যাওয়ার পথে আমোদপুরে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরাই।
বিজেপি-র দাবি, লাভপুর, নানুর ছাড়াও সাঁইথিয়া এবং সদাইপুরে তাঁদের মিছিল আটকানো হয়েছে। যেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে, সেই আমোদপুরেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নেতৃত্বের। মারধর, বাস ভাঙচুরের অভিযোগও এনেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। সে সব অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমোদপুরে ব্লক কার্যালয়ে ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিজেপিকে। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড়ব না।’’ হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে সিউড়িতে গত ১১ তারখি একটি ধর্মীয় মিছিলের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় এ দিন বিজেপি সিউড়িতে মহামিছিলের ডাক দেয়। সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।
সেই মিছিলেই জেলার নানা জায়গা থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনার ব্যবস্থা করে বিজেপি।
এ দিন আমোদপুরের সুগার মিলের গেট লাগোয়া তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ের সামনে দিয়ে একসঙ্গে ৪/৫টি বাসে করে সিউড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকরা।
সেই সময় তাঁরা তৃণমূল কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। কার্যালয়ে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে বাস থামিয়ে বিজেপি কর্মীরা কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে বলে দাবি তৃণমূলের। কার্যালয়ের
সামনে রাখা তিনটি মোটরবাইকে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও তৃণমূলের নেতৃত্বের দাবি। তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি অসীম মজুমদার বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয়ে অল্প কয়েকজন কর্মী ছিলেন। সেই সুযোগে বিজেপি’র লোকের চড়াও হয়। তাঁদের মারধর করে। ভাঙচুরও চালায়।’’ পুলিশ জানায়, আমোদপুরের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘অন্যের বিরুদ্ধে দোষ চাপালেই কেউ দোষী হয় না। সারা রাজ্য জুড়েই এই ছক নিয়েছে তৃণমূল।’’ বিজেপি-র দাবি, লাভপুরের লা’ঘাটায় এবং সিনেমাহলের কাছে বাস আটকে ও সাদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামে থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা মিছিলে আসার সময় তাঁদের উপরে চড়াও মারধর করে শাসকদলের লোকেরা।
বর্ষবরণ। বিশ্বভারতী কর্মীমণ্ডলীর বিনোদন শাখার উদ্যোগে সোমবার শান্তিনিকেতনে হল ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অতনুকুমার সিংহ জানান, এমন অনুষ্ঠান একত্র হওয়ার সুযোগ করে দেয়।