নাগা বাহিনীর জওয়ানের ছোঁড়া গুলিতে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগ। সম্প্রতি ওই বিভাগের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বলরামপুরে নাগা বাহিনীর জওয়ানের ছোঁড়া গুলিতে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল তাঁর নিকটাত্মীয় এবং আহত ব্যক্তিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২০১০ সালে মাওবাদী সমস্যায় উত্তাল পুরুলিয়ায় ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের নাগা বাহিনীকে আনা হয়। একটি ইউনিটকে পাঠানো হয় বলরামপুরে। পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কের পাশে স্থানীয় কমিউনিটি হলে তাঁদের রাখা হয়। তখন সন্ধ্যার পরে এলাকা সুনসান হয়ে যেত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টম্বর রাতে একটি গাড়ি জামশেদপুরের দিক থেকে পুরুলিয়ায় আসছিল। রাস্তায় চলন্ত গাড়িটিকে থামাতে যান এক নাগা জওয়ান। না থামায় গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালান তিনি। মৃত্যু হয় বিকাশকুমার মিশ্র নামে ওই গাড়ির এক আরোহীর। গণেশকুমার গুপ্ত নামে আর এক আরোহীও আহত হন। গুলি লাগে স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতেও।
স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব পুরুলিয়া জেলাশাসককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক মৃত বিকাশকুমার মিশ্রের নিকটাত্মীয়কে এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা ও আহত গণেশকুমার গুপ্তকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উত্তমকুমার অধিকারী বলেন, ‘‘নিহত এবং আহতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারো এলাকায়। তাঁদের ঠিকানা জানাতে বিডিও (বলরামপুর)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ঠিকানা পেলেই ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।’