বান্দোয়ানে উদ্ধার করেও বাঁচানো গেল না হরিণকে

কংসাবতী (দক্ষিণ)-এর ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরুষ হরিণটির বয়স এক থেকে দেড় বছর। প্রাণী চিকিৎসককে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা শুরু করার আগেই সে মারা যায়। শনিবার বিকেলে হরিণের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০১:২৯
Share:

শুশ্রুষা: লোকালয়ে চলে আসা হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা গ্রামবাসীর। নিজস্ব চিত্র

বান্দোয়ানের জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া এক হরিণের মৃত্যু হল।

Advertisement

কংসাবতী (দক্ষিণ)-এর ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরুষ হরিণটির বয়স এক থেকে দেড় বছর। প্রাণী চিকিৎসককে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা শুরু করার আগেই সে মারা যায়। শনিবার বিকেলে হরিণের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

শনিবার সকালে হরিণটি হঠাৎ জঙ্গল ছেড়ে বান্দোয়ানের মধুপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা জলধর সিং, অঘোর সিং দাবি করেন, ‘‘আমরা সকালে বাড়ি লাগোয়া জমিতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দেখি দূর থেকে একটা হরিণ ছুটে এসে মুখ থুবড়ে আমাদের সামনে পড়ে গেল। তখনও হরণিটা বেঁচে ছিল। বড় বড় শ্বাস নিচ্ছিল। মনে হয়, কোনও কারণে ভয় পেয়ে অমন দৌড় দিয়েছে। কিন্তু দৌড়তে না পেরে পড়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

ওই গ্রামেরই বাসিন্দা প্রশান্ত সিং জানান, তিনি জল নিয়ে এসে দেন। ঘাস ছিঁড়ে এনে দেন। কিন্তু হরণিটি কিছুই মুখে তোলেনি। চেষ্টা করেও বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁরা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। বান্দোয়ান থানা থেকে পুলিশ এসে হরিণটিকে নিয়ে যায়।

ডিএফও বলেন, ‘‘এই হরিণটি কোন জঙ্গল থেকে এসেছে বলা মুশকিল। কারণ ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলও কাছেই। গ্রামের বাসিন্দারা জখম হরিণটিকে উদ্ধার প্রথমে থানায় খবর দেয়। পরে আমাদের কর্মীরা সেখান থেকে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে।’’ বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, হরিনটির মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বলা সম্ভব নয়। তবে যে কোনও কারণে হোক ও খুব ভয় পেয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন