সাঁইথিয়ায় গোলমাল

বাসভাড়া নিয়ে এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে কন্ডাক্টরের বিবাদে দোকান ও বাসে ভাঙচুর চলল। মারধরও করা হয় কয়েকজনকে। আর এ সবের জেরে বুধবার বিকেলে দীর্ঘক্ষণ সাঁইথিয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখলেন বাসিন্দারা। সাঁইথিয়ার কুনুরী গ্রামে এই অবরোধে আটকে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি। নাকাল হল যাত্রীরা। পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে অবরোধমুক্ত করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৫ ০১:০২
Share:

বাসভাড়া নিয়ে এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে কন্ডাক্টরের বিবাদে দোকান ও বাসে ভাঙচুর চলল। মারধরও করা হয় কয়েকজনকে। আর এ সবের জেরে বুধবার বিকেলে দীর্ঘক্ষণ সাঁইথিয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখলেন বাসিন্দারা। সাঁইথিয়ার কুনুরী গ্রামে এই অবরোধে আটকে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি। নাকাল হল যাত্রীরা। পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে অবরোধমুক্ত করে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। সিউড়ি থেকে ফেরার পথে সাঁইথিয়ার বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রের সঙ্গে বাসের কন্ডাক্টরের বিবাদ বাধে। অভিযোগ কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যহার করেন ওই কন্ডাক্টর। প্রতিবাদে মঙ্গলবারই সাঁইথিয়া থেকে ফেরার ওই বাসটির পথ আটকে প্রতিবাদ জানায় ওই ছাত্রও তার সঙ্গীরা। ওই বাসকর্মী সিউড়ির একটি গ্রামের বাসিন্দা। বাসিন্দাদের দাবি, বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ কন্ডাক্টরের গ্রামের লোকেরা দু’টি বাসে চেপে এসে সাঁইথিয়ার ওই গ্রামে চড়াও হয়। বাসস্টপ এলাকায় একটি দোকানে তারা ভাঙচুর চালায়। মারধর করে এক বয়স্ক দোকানদারকে। এরপরেই ওই গ্রামের লোকেরা জড়ো হলে বাস ছেড়ে পালায় হামলাকারীরা। সাঁইথিয়ার ওই গ্রামের ক্ষুব্ধ লোকজন বাস দু’টিতে ভাঙচুর চালায়। ফেরার পথে সিউড়ির ওই লোকজন এক সাইকেল মিস্ত্রীকে একা পেয়ে মারধর করে। এরপরেই বাসিন্দারা পথ অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সাঁইথিয়া ও সিউড়ি দুই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষকে বুঝিয়ে অবরোধ মুক্ত করে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বাসানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement