Visva Bharati University

Visva-Bharati University: হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা আটক রেজিস্ট্রারের, ধস্তাধস্তিতে ধুন্ধুমার বিশ্বভারতী

ভোর পাঁচটা নাগাদ শিবরাত্রি উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন বলে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে তাঁকে গেটের মুখেই আটকে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ১০:৩১
Share:

রেজিস্ট্রারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

হোস্টেল খোলার দাবিতে ধুন্ধুমার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। চলছে ঘেরাও। বিশ্বভারতীর হোস্টেল খোলার দাবিতে এখনও অনড় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। ঘেরাও এড়িয়ে রেজিস্ট্রার হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিও হয়।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘেরাও করে রেখেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, যত ক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না মানছেন তত ক্ষণ তাঁরা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ভোরের দিকে আটকে থাকা রেজিস্ট্রার আশিস অগ্রবাল কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা গেটের সামনে তাঁকে আটকে দেন। এই সময় নিরাপত্তা কর্মী ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পড়ুয়াদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়।

এই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বলেন, তিনি ভোর পাঁচটা নাগাদ শিবরাত্রি উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন বলে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে তাঁকে গেটের মুখেই আটকে দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ের ‌উপর দিয়ে যাবেন না বলে তিনি হামাগুড়ি দিয়েও যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্বষ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে সব অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকারা জড়ো হন। তাঁরা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথাও জানানো হয়। তবে বিক্ষোভকারীরা তা লিখিত আকারে দেওয়ার দাবি তোলেন। তা না পাওয়ায় এখনও বিক্ষোভ জারি রয়েছে। তবে পড়ুয়ারা সোমবার থেকে রেজিস্ট্রারের দফতরের ভিতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেখান থেকে সরে গিয়ে আপাতত তাঁরা দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যদিও এখনও ভিতরে আটকে রয়েছেন বিশ্বভারতীর বর্তমান রেজিস্ট্রার, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং জন সংযোগ আধিকারিক। ছাত্রদের বক্তব্য, আধিকারিকরা যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই জন্য ওই জায়গা থেকে সরে এসেছেন তাঁরা। তবে তাঁদের বেরোতে দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন